Mumbai crime: রক্ষক যখন ভক্ষক! বাজেয়াপ্ত টাকা উধাও, মামলা রুজু পুলিশের বিরুদ্ধেই
Maharashtra police জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল ভারত সূর্যবংশী এবং নির্মলা লোহারে - ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল অবধি ওই থানাতেই কর্মরত ছিলেন।
মুম্বই: এযেন ‘রক্ষকই ভক্ষক’ প্রবাদের হাতে গরম উদাহরণ। মহারাষ্ট্রের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, পুলিশও কখনও কখনও নিরাপদ নয়। দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল ভান্ডুপ থানা। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা ও দামী সরঞ্জাম পুলিশি হেফাজত থেকে উধাও হওয়ার কারণে ওই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল ভারত সূর্যবংশী এবং নির্মলা লোহারে – ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল অবধি ওই থানাতেই কর্মরত ছিলেন। থানা সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া দ্রব্যাদি আদলতে পেশ করার আগে ওই দুই কনস্টেবলের দায়িত্বেই থাকত। তারাই যাবতীয় বাজেয়াপ্ত বস্তু সামলে রাখতেন। সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে বদলি হওয়ার আগে লোহারেও বাজেয়াপ্ত জিনিস সামলে রাখার মূল দায়িত্বে ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। এরপর থেকেই দায়িত্বে ছিলেন সূর্যবংশী।
২০১৯ সালে সূর্যবংশীকে ক্রাইম ব্রাঞ্চে বদলির পরই এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সঙ্গীতা ওয়াঘ দেখেন বাজেয়াপ্ত করা টাকার মধ্যে থেকে ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৫৮৭ টাকা ও বাজেয়াপ্ত গয়নার মধ্যে থেকে ৯৬.৩৫ গ্রাম সোনার গয়না যার আণুমানিক বাজার মূল্য ২ লক্ষ ১০ হাজার ২০০ টাকা পুলিশ হেফাজত থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে এর আগে লোহারে ও সূর্যবংশী দায়িত্বে ছিলেন। এরপর দুই ধনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৪০৯ ধারায় সরকারি কর্মীর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।
“এখনও অবধি কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত চলাকালীন আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কনস্টেবলকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের দাবি, তাঁরা জানেন না ওই মূল্যবান সামগ্রীগুলি কোথায় রয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি খোওয়া যাওয়া জিনিসগুলি অভিযুক্ত দুজন চুরি করেছে নাকি অন্য কেউ চুরি করেছে। তারা যদি চুরি নাও করে থাকেন তবে কর্তব্যে গাফিলতির কথা তারা অস্বীকার করতে পারেন না। ওইগুলি সামলে রাখা তাদের দায়িত্ব ছিল। তাই তাদেপ বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।” জানিয়েছেন থানা এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক। তিনি জানিয়েছে সব মিলিয়ে মোট ৫ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার সামগ্রী উধাও হয়েছে। মামলার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও চলবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
আরও পড়ুন Republic Day: বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ‘ড্রাই ডে’, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ ঘোষণা আফগারি কমিশনের