দেশে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ। বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তদের সাতদিন একান্তবাসে থাকলেই চলবে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় আলাদাভাবে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এখন থেকে গুরুতর বা সংকটজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত বারিসিটিনিব (Baricitinib) ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল বা কম সংক্রমিত করোনা রোগীর ক্ষেত্রে সোট্রোভিমাব (Sotrovimab) ব্যবহার করা যাবে। নির্দেশিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যেসব করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার সম্ভাবনা বেশি তাদের ক্ষেত্রে সোট্রোভিমাব ব্যবহার করা যাবে।
শর্তসাপেক্ষে মকরস্নান হবে দিঘা-শঙ্করপুর-তাজপুরেও। তবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জানিয়ে দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বাড়ছে ওমিক্রন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল-কলেজ-পর্যটনকেন্দ্র সমস্ত কিছুই আপাতত বন্ধ রয়েছে। উৎসব আয়োজনেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এরই মধ্যে শুক্রবার পালিত হবে মকরসংক্রান্তি। সমুদ্রে ডুব দেওয়ার জন্য প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি, জলধা, জুনপুটের সৈকতে। কিন্তু এবার ভিড় এড়াতে কড়া প্রশাসন। কোলাঘাট,গেওখালি-সহ বিভিন্ন ঘাটে যাতে মানুষ ভিড় না জমায় সে বিষয়ে নজর রয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে মকরস্নান হবে দিঘা-শঙ্করপুর-তাজপুরেও, জারি কঠোর বিধি
২২ জানুয়ারি চার পৌরনিগমের ভোট কি আদৌ হবে? কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ? পুরভোট নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দিনভর শুনানিতে এই নিয়েই চলল টানাপোড়েন। রাজ্য বল ঠেলল কমিশনের কোর্টে। ফের কমিশনও এড়িয়ে গেল দায়। গোটা শুনানিপর্বে প্রধান বিচারপতির সামনেই চলল এক প্রস্থ দায় এড়ানোর চেষ্টা। তাতে ঝুলেই রইল পুরভোটের ভবিষ্যৎ। রায়দান স্থগিত রাখলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এদিনের গোটা শুনানি পর্বে প্রধানবিচারপতির উল্লেখ্যযোগ্য পর্যবেক্ষণ, আইন তৈরির ২৭ বছরেও কেন স্পষ্ট নয় কে পুরভোট করবে!
বিস্তারিত পড়ুন: বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? একে অন্যের কোর্টে বল ঠেলল কমিশন-রাজ্য! স্থগিত ‘পুর’ রায়দান
সিনেমার কোনও দৃশ্যের থেকে কম নয় চিনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির চিত্র। অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির সামনে বাসের লম্বা লাইন, ভিতরে জবুথবু হয়ে বসে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। চিনের জিরো কোভিড নীতি অনুযায়ী, একজনও করোনা আক্রান্ত হলে, গোটা শহরেরই বাসিন্দাদের যেমন করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তেমনই আবার একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এলেই, বাকি এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা হচ্ছে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো থেকে আটকাতে।
Millions of chinese people are living in covid quarantine camps now!
2022/1/9 pic.twitter.com/wO1cekQhps— Songpinganq (@songpinganq) January 9, 2022
তামিলনাড়ুর সংস্কৃতির অন্যতম অংশ হল জালিকাট্টু। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত দুই বছর ধরেই বাধা পড়ছে। তবে এবারও করোনা বিধি মেনেই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খেলোয়াড় নিয়ে শুরু হল জালিকাট্টু খেলা।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই বিপুল জনসমাগম হয়, এমন কর্মসূচি স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এরপরই কর্নাটকে স্থগিত করে দেওয়া হল পদযাত্রা কর্মসূচি।
করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এদিন তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। তবে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই, বর্তমানে তিনি বাড়িতেই একান্তবাসে রয়েছেন।
সংক্রমণের একের পর এক ঢেউয়ে কার্যত বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র। প্রথম দুটি ঢেউয়ের মতোই ফের একবার সে রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৪৬ হাজার ৭২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে রাজ্য়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লক্ষ পার করল।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি ওমিক্রন সংক্রমণও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৮৮-তে। দেশের ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ। রাজ্যে সংক্রমণের ভিত্তিতে এখনও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৬ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলায় বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬৭-এ। কেরলেও হঠাৎ বৃদ্ধি হয়েছে ওমিক্রন সংক্রমণে, একদিনেই ৭৯ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
দৈনিক সংক্রমণের বৃদ্ধির কারণেই দেশে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩১। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৪ হাজার ৮২৫। রোগী বছরের শুরুতেও দেশের মোট আক্রান্তের ১ শতাংশের কম ছিল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা, বর্তমানে তা বেড়ে ৩.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিছুটা কমেছে সুস্থতার হারও। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৫.৫৯ শতাংশ।
জয়নগর ১ নম্বর ব্লক এলাকায় ইতিমধ্যেই ৬২ জন সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন। যে গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। তাই করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় সমস্ত বাজার, দোকান পাট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক তরফে।
রাজ্যে যে জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগনা। কোভিড গ্রাফের উপর নজর রেখে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে লকডাউন। এবার একই পথে হাঁটল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের জন্য লকডাউন শুরু হল এলাকায়।
দেশের একাধিক রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টও ইতিমধ্যেই দেশের ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি কতটা প্রস্তুত রয়েছে ও সংক্রমণ সামাল দিতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই অবশ্যই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলার সুযোগ দেওয়া হবে।
ফের একবার এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ল করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার জন। গতকালই এই সংখ্যাটি ছিল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০। অর্থাৎ একদিনেই ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে দৈনিক সংক্রমণে।
ডঃ বলরাম ভার্গব জানান, সরকারের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি, বয়স্ক বা কো-মর্ডিবিটিযুক্ত ব্যক্তি, তাদের করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। যারা আন্তঃরাজ্য যাতায়াত করছেন, তাদের ক্ষেত্রেও করোনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই।
এছাড়াও যারা উপসর্গহীন রোগী, কিংবা হোম আইসোলেশনের গাইডলাইন মেনে ৭ দিন একান্তবাসে থেকেছেন, তাদের করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। যে সমস্ত করোনা সংক্রমিতদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদেরও করোনা পরীক্ষা করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। তবে আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে সাতদিনের একান্তবাসে থাকার নিয়ম যাতে মেনে চলা হয় এবং সর্বক্ষণ মাস্ক পরা হয়, এই বিধিগুলি মেনে চলার কথা বলেন আইসিএমআরের প্রধান।
বিস্তারিত পড়ুন: ICMR on COVID Test & Isolation: ‘সংক্রমণের প্রথমদিনে রিপোর্ট নেগেটিভই আসবে’, আইসোলেশনের মেয়াদ নিয়ে কী মত ICMR প্রধানের?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গব বলেন, “ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর প্রথম দিনই যদি করোনা পরীক্ষা করা হয়, তবে রিপোর্ট নেগেটিভই আসবে, তা সে যে টেস্টই করা হোক না কেন। শরীরে ভাইরাস বিস্তারের জন্য সময় লাগে, এটিকে ল্যাটেন্ট পিরিয়ড বলা হয়। সংক্রমণের তিনদিন থেকে তা ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্টের মাধ্যমে তা নির্ণয় করা যায়। আটদিন অবধি এই টেস্ট কার্যকরী,কারণ এতটা সময় ধরেই শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ায়। সেই কারণেই সংক্রমণের সাতদিনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একান্তবাসে থাকা কিংবা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সাতদিনের সময়সীমার উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হলে, সংক্রমণের আটদিন পরেও রিপোর্ট পজেটিভই আসবে, কারণ শরীরে কিছু আরএনএ-র অংশ থেকেই যায়।”
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্ট, যার অন্তর্গত ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন ও হোম -অ্য়ান্টিজেন টেস্ট, তার মধ্যমে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার তিনদিন পর থেকে আটদিন অবধি সংক্রমণের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়। অন্যদিকে, আরটি-পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে ২০ দিন অবধি শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা জানা যায়।