জয়পুর: চাকরি যাওয়ার ভয়ে নিজের পাঁচ মাসের সন্তানকেই খুন করলেন বাবা। এই কাজে সঙ্গ দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। রাজস্থানের বিকানেরের ঘটনা। রাজস্থান সরকারের (Rajasthan Government) এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৩৬ বছর বয়সী ঝাওয়ারলাল মেঘওয়াল। তৃতীয় সন্তানের কারণে চাকরি স্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই তিনি এরকম পদক্ষেপ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দম্পতির বিরুদ্ধে ছাতারগড় (Chhatargarh) পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের হয়েছে।
রাজস্থান সরকারে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করেন এই ঝাওয়ারলাল মেঘওয়াল। তাঁর স্ত্রী গীতা দেবী। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। চার জনের পরিবারে ভালভাবেই দিন কেটে যেত। খুব শিগগির রাজস্থান সরকারের এই দফতরে স্থায়ী কর্মী হওয়ার আশা করছিল। এর মধ্যেই তাঁদের তৃতীয় সন্তান আসে। তার বয়স মাত্র ৫ মাস। মা-বাবাকে চেনার ও পৃথিবীটাকে দেখার সেই বোধটুকুও জন্মায়নি তার। কিন্তু তার আগেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল।
রাজস্থান সরকারের তরফে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে তৃতীয় সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই কোনও সরকারি কর্মচারীকে অবসর নিতে হবে। তাই তৃতীয় সন্তানের জন্মের পর থেকেই মনের মধ্যে ভয় তৈরি হয় ঝাওয়ারলালের। যদি তিন সন্তান থাকার কারণে তাঁর সরকারি চাকরি স্থায়ী না হয়। তাই তিনি ও স্ত্রী মিলে একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আসেন। তৃতীয় সন্তানকেই জীবন থেকে বাদ দেবেন। রবিবার সন্ধেবেলা বিকানের জেলায় একটি খালে নিজেদের পাঁচ মাসের শিশুকে ফেলে দেন দম্পতি। বিকানের সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যোগেশ যাদব বলেছেন, “নিজেদের মেয়েকে খুন করার জন্য সোমবার ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থায়ী সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য অভিযুক্ত স্ত্রী-র সঙ্গে একযোগে এই পদক্ষেপ করেছে।” ঝাওয়ারলাল মেঘওয়াল এবং তাঁর স্ত্রী গীতা দেবীর বিরুদ্ধে ছাতারগড় থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ১২০ বি ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।