নয়া দিল্লি: দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার (COVID 19) দ্বিতীয় ঢেউ। চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। ভ্যাকসিনেও করোনা রোখা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল মানুষের মনে। কারণ, বারবার রূপ বদলে মারাত্মক হয়ে উঠছে কোভিড। সে ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছিল ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দেওয়ার সম্ভাবনাও। সেই সংশয় কাটিয়ে কার্যত আশ্বাস দিল ভারত বায়োটেক। গবেষণার ফল-সহ কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকের দাবি, ব্রিটেনে প্রাপ্ত বি.১.১.৭ স্ট্রেন ও ভারতে ছড়িয়ে পড়া বি.১.৬১৭ স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোভ্যাক্সিন। ইতিমধ্যেই সেই গবেষণা পির-রিভিউড একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ও আইসিএমআরের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বি.১.১.৭ ও বি.১.৬১৭ স্ট্রেনের বিরুদ্ধে সমান কার্যকরী। ভারত বায়োটেকের কো-ফাউন্ডার ও জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এল্লা টুইট করে জানিয়েছেন, ফের কোভ্যাক্সিন আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে। তিনি লিখেছেন, “গবেষণা বলছে নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোভ্যাক্সিন। মুকুটে আরও একটি পালক।”
Covaxin gets international recognition yet again, by scientific research data published demonstrating protection against the new variants.Yet another feather in its cap??@PMOIndia @nsitharaman @drharshvardhan @MoHFW_INDIA @ICMRDELHI @DBTIndia @doctorsoumya @BharatBiotech pic.twitter.com/AUhphvvivz
— suchitra ella (@SuchitraElla) May 15, 2021
দেশে কোভিশিল্ডের সঙ্গে কোভ্যাক্সিন একই সময়ে অনুমোদন পেয়েছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোডে ছাড়পত্র পেয়েছিল ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের তৈরি এই প্রতিষেধক। এর আগেও আইসিএমআর জানিয়েছিল ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন তো বটেই, কোভ্যাক্সিন আরও একাধিক স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরী। আইসিএমআর ব্রিটেনের স্ট্রেন বি.১.১.৭, ব্রাজিলের স্ট্রেন বি.১.১.২৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন বি.১.৩৫১ স্ট্রেনের জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখেছে কোভ্যাক্সিন এই ভ্যারিয়েন্টগুলিকে রুখতে সক্ষম। যদিও কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে ছড়ানো স্ট্রেনের ওপর ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, দেশে ভ্যাকসিনের সঙ্কট মেটানোর জন্য বারবার দাবি উঠেছিল কোভ্যাক্সিনের ফর্মুলা অন্যান্য ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল ঘোষণা করেছিলেন, কোভ্যাক্সিন তাঁদের ফর্মুলা অন্যান্য ফার্মা সংস্থার হাতে তুলে দেবে। সেই মতো কয়েকদিন আগে গুজরাট বায়োটেকনলজি রিসার্চ সেন্টার কোভ্যাক্সিন তৈরির ছাড়পত্র পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে আলাপ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ ২৫ জনের