নয়া দিল্লি : দিল্লির করোনা পরিস্থিতি (Delhi COVID Situation) ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron Variant)। রাজধানীতে চলতি মাসের শুরুতে যা ছিল তার থেকে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বাড়বাড়ন্তের জেরে পরবর্তী কয়েক মাসে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ (Spike in fresh Coronavirus cases) পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দিল্লিতে রবিবার পজিটিভিটি রেট ছিল ০.৫৫ শতাংশ। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯০। সোমবার সেই জায়গা সংক্রমিতের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৮ শতাংশ এবং দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ৩৩১। উল্লেখ্য, রাজধানীতে ১ ডিসেম্বরে সংক্রমিতের হার ছিল ০.০৭ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯। পরের দিন, সংক্রমিতের হার ছিল ০.০৬ শতাংশ এবং দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪১।
৯ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে, দিল্লিতে প্রতিদিন গড়ে ৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা বেড়ে ৯৫ হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৪৯.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
এপিডেমিওলজিস্ট গিরিধর আর বাবু জানিয়েছেন, “উৎসবের মরসুমের কারণে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ সেক্ষেত্রে, নভেম্বরে দীপাবলির ১৪ দিন পরেও তার প্রভাব দেখা যেত। নভেম্বরের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ত। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত দ্রুত ছড়ায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতহারে বাড়বে এবং একইভাবে দ্রুতহারে কমবে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝির মধ্যে সংক্রমণ সর্বোচ্চ থাকবে।”
সফদারজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক যুগল কিশোর বলেছেন, “করোনা ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা এবং পজিটিভিটি রেট বাড়তে বাধ্য। তবে মৃত্যুহারে প্রভাব পড়বে না।”
এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, উৎসব ও বিয়েবাড়ির মরশুমে সাধারণ মানুষের অসচেতনতাই বিপদ বাড়াচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও তিনগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন থাকা উচিত। কিন্তু উৎসবের আনন্দে শিকেয় উঠেছে করোনাবিধি।
ইতিমধ্যেই সংক্রমণ রুখতে একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু(Night Curfew)। গত সপ্তাহ থেকেই উত্তর প্রদেশে নৈশ কার্ফু চালু হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। ২৬ ডিসেম্বর থেকে অসমেও নৈশ কার্ফু সহ একাধিক করোনাবিধি পুনরায় চালু করা হয়েছে। আজ থেকে দিল্লিতেও শুরু হচ্ছে নৈশ কার্ফুু।