এ বার আকাল করোনার ওষুধেও, বাজার ঘুরলেও মিলছে না ফ্যাবিপিরাভির-রেমিডেসিভির

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Apr 10, 2021 | 2:14 PM

ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ফ্যাবিপিরাভিরের মেয়াদ বা এক্সপায়েরি ডেট এপ্রিল মাসেই ছিল। ফলে দোকানে মজুত থাকা সমস্ত ওষুধই সরবরাহকারীদের ফেরত দেওয়া হয়েছিল। খুব বেশি চাহিদা না থাকায় নতুন অর্ডারও দেওয়া হয়নি।

এ বার আকাল করোনার ওষুধেও, বাজার ঘুরলেও মিলছে না ফ্যাবিপিরাভির-রেমিডেসিভির
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

নয়ডা: টিকার পর এ বার ওষুধের আকাল। গোটা নয়ডা(Noida) বা গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) ঘুরলেও মিলছে না এই দুটি ওষুধ। রেমিডেসিভির(Remdesivir) ও ফ্যাবিপিরাভির(Favipiravir)। করোনা রোগীর চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এই দুই ওষুধের আকাল দেখা গিয়েছে রাজধানী সংলগ্ন দুই শহরে।

করোনার চিকিৎসায় প্রথমেই কার্যকারিতা দেখিয়েছিল রেমিডেসিভির। এরপর তালিকাভুক্ত হয়েছিল ফ্যাবিপিরাভিরও। হাসপাতাল থেকে শুরু করে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার হত এই দুটি ওষুধ। তবে অক্টোবরের পর থেকেই দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা কমতেই খুব একটা প্রয়োজন পড়ছিল না এই দুটি ওষুধের। তাই হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই খোঁজ পড়েছে রেমিডেসিভির ও ফ্যাবিপিরাভিরের। যদিও উৎপাদনে ঘাটতির কারণে আপাতত কোথাও মিলছে না এই ওষুধ।

নয়ডার ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ফ্যাবিপিরাভিরের মেয়াদ বা এক্সপায়েরি ডেট এপ্রিল মাসেই ছিল। ফলে দোকানে মজুত থাকা সমস্ত ওষুধই সরবরাহকারীদের ফেরত দেওয়া হয়েছিল। খুব বেশি চাহিদা না থাকায় নতুন অর্ডারও দেওয়া হয়নি। এখন আচমকাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বিগত ১০ দিন ধরে সকলেই এসে ফ্যাবিপিরাভির চাইছেন।

অন্যদিকে, রেমিডেসিভিরের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। করোনা সংক্রমণ কমতেই অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। দোকানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওষুধ। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তেই হাসপাতালগুলিতে এই দুই ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু জোগান কম হওয়ায় খালি হাতেই ফেরত পাঠাতে হচ্ছে।

এক ওষুধ সরবরাহকারী জানান, ইতিমধ্যেই ওষুধের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ফ্যাবিপিরাভির ও রেমিডেসিভিরের উৎপাদনও ফের একবার বাড়ানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালগুলির চাহিদা পূরণ করা যাবে। অন্যদিকে গাজিয়াবাদের ওষুধ বিক্রেতা ও সরবরাহকারী সংগঠনের সম্পাদক রাজীব ত্যাগী বলেন, “ইতিমধ্যেই রেমিডেসিভিরের সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। তবে তা খুব বেশি নয়। নয়ডা, গাজিয়াবাদ, লখনউ,  গোরক্ষপুরের হাসপাতালগুলিতে এখনও অবধি মাত্র দুই হাজার স্ট্রিপ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।”

আরও পড়ুন: করেনার দাপটে মনে বাসা বেঁধেছে লকডাউন-ভীতি, ফের ঘরের পথে পরিযায়ী শ্রমিকেরা

Next Article