নয়া দিল্লি : ডিসেম্বরেই দেশে প্রবেশ করেছে করোনার নতুব ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু, তার দাপট যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা বুঝে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছে। তবে বছর শেষে করোনার যে রেখচিত্র সামনে এসেছে, তা থেকে স্পষ্ট ওমিক্রন তার আসল চেহারা ক্রমশ প্রকাশ্যে আনতে শুরু করেছে। দেশে একধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৪০০। মাত্র চার দিনে দেশে ওমিক্রন সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত সব খবর একনজরে
করোনায় আক্রান্ত বিশিষ্ট বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। শনিবারই তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “আমি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছি এবং নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি। গত ৭২ ঘণ্টায় যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, করোনা পরীক্ষা করান।”
করোনা আক্রান্তদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। করোনা রোগীদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হোম আইসোলেশনে বিনামূল্যে এবং অনলাইন যোগচর্চা শেখানো হবে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া।
ওমিক্রন ও করোনা সংক্রমণ বাড়তেই রাজ্যে ফের একবার লকডাউন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তবে যাবতীয় জল্পনায় জল ঠেলে এদিন রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, “লকডাউন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এই বিষয়ে কোনও আলোচনাও করা হয়নি আপাতত। রাজ্যে আক্রান্ত ও সংক্রমণের হার, হাসপাতালে শয্য়া, মজুত অক্সিজেনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। যদি দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৭০০ মেট্রিক টন পার করে, তবে রাজ্যে লকডাউন জারি করা হবে।”
বড় শহর, যেখানে সংক্রমণের হার বেশি, সেই জায়গাগুলিতে নজরদারি রাখার পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতেও যাতে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার উপর যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের চিঠিতে। একইসঙ্গে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকায়, পেডিয়াট্রিক বা শিশু চিকিৎসায় যাতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়, তার উপরও নজর দিতে বলা হয়েছে।
শনিবারই কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো(Health Infrastructure)-র কী হাল, তা জানতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে অতিরিক্ত শয্যার (Additional Beds) পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোয় উন্নতি, মজুত অক্সিজেনের (Oxygen Stock) পরিমাণ কত রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য জানতে ও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ(Rajesh Bhushan) চিঠিতে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নিতেও বলেছেন।
এ দিনের চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে শীঘ্রই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর চাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত করোনা রোগীদের সামান্য বা মাঝারি উপসর্গ দেখা দেবে, তাদের চিকিৎসার জন্য আগের বছরের মতো হস্টেলগুলিও ব্য়বহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, ঠিক একইভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ গ্রাফও। বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল। বৃহস্পতিবার ২ হাজার পার করে সেই সংখ্যা। শুক্রে তা প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছুঁই ছুঁই। শনিবার ফের লম্বা লাফ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ।
সবথেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কলকাতায়। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টার মধ্যে কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ জন।
মুম্বই(Mumbai)-তে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার শহরে নতুন করে ৩ হাজার ৬৭১ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যা এক দিন আগের সংক্রমণের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি ছিল। শনিবার সেই আক্রান্তের সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৪৭-এ, যা গতকালের সংক্রমণের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। করোনার এই হঠাৎ বৃদ্ধির পিছনে ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ওড়িশা থেকে এক ব্যক্তি রাজ্যে এসেছেন। ওই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে গতরাতে জানিয়েছে ওড়িশা। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পেট্রোপোল সীমান্ত থেকে আরও দুই যাত্রীর শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফলে রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯। বঙ্গে ওমিক্রনের অ্যাকটিভ কেস বর্তমানে ১৬। এ ছাড়া আরও পাঁচ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির শরীরে ডেল্টার হদিশ মিলেছে।
হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। তাও রাজধানীতে ঠেকানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে চেনা ছবি একেবারেই দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের বীভিষিকার কথা ভুলে যাননি দিল্লিবাসী। তাই রাজধানীর বর্ষবরণ ছিল অনেকটাই ছিমছাম। কিন্তু এত সবের পরেও লম্বা লাফ দিল করোনা। নববর্ষের দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭১৬ জন।
রাজস্থানে ওমিক্রনে আক্রান্ত আরও ৫২ জন। শনিবার রাজস্থান স্বাস্থ্য দফতর থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এই নিয়ে সে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১। ওমিক্রনে আক্রান্ত ৫২ জনের মধ্যে, জয়পুরে ৩৮ জন। এ ছাড়া প্রতাপগড়, সিরোহি এবং বিকানের তিন জন করে, যোধপুরে দুই জন এবং আজমির, সিকার এবং ভিলওয়াড়ায় এক জন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সব মামলার শুনানি ভার্চুয়ালি হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শনিবার ফের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে জেলা ও মহকুমা স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপরও নজর দিতে বলা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘স্টুডেন্টস উইক’ ঘোষণা করেছে রাজ্যে সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে ৩ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও থাকার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাহলে কি, রাজ্যে আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার? প্রাথমিক সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
করোনা আক্রান্ত রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁর। তিনি স্থিতিশীল।
আফগানিস্তানের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় পাশে দাঁড়াচ্ছে ভারত। কোভ্যাক্সিনের ৫ লাখ ডোজ পাঠানো হচ্ছে কাবুলে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কাবুলের ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালে ওই ডোজ় পাঠানো হচ্ছে।
করোনা (COVID-19) ও ওমিক্রনের (Omicron) চোখ রাঙানির মধ্যে দিয়েই স্বাগত জানানো হয়েছে নতুন বছরকে। এবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নতুন এক সংক্রমণ। ইজরায়েলে (Israel) ধরা পড়ল ফ্লোরোনা (Florona) রোগ। করোনা সংক্রমণ (COVID-19) ও ইনফ্লুয়েঞ্জার (Influenza) জোড়া আক্রমণের ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে এই নতুন রোগ। ইজরায়েলের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রেই প্রথম এই সংক্রমণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। স্থানীয় ওই সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই এক গর্ভবতী মহিলা সন্তান প্রসব করার জন্য রাবিন মেডিকেল সেন্টার নামক একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করা হলে, তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পরে জানা যায়, ওই মহিলা ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও আক্রান্ত হয়েছেন। দুই সংক্রমণের নাম মিলিয়েই এই নতুন রোগের নাম রাখা হয়েছে ফ্লোরোনা।
মহারাষ্ট্রের ১০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আরও কড়াকড়ি করার কথা ভাবছে উদ্ভব ঠাকরের সরকার। মহরাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার শনিবার বলেছেন, রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আরও কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, “আমরা সম্প্রতি বিধানসভা অধিবেশনে কাঁটছাট করেছি। এখনও পর্যন্ত, ১০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং ২০ জনেরও বেশি বিধায়ক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সবাই নববর্ষ, জন্মদিন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান পালন করতে চায়। কিন্তু মনে রাখবেন যে নতুন ভেরিয়েন্ট (ওমিক্রন) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তাই সতর্কতা প্রয়োজন।” আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনার বিষয়ে, অজিত পাওয়ার বলেন, রাজ্য সরকার ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যার উপর নজর রাখছে। তাঁর কথায়, “রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। কঠোর নিষেধাজ্ঞা এড়াতে প্রত্যেকেরই নিয়মগুলি অনুসরণ করা উচিত। “
“নতুন বছরে, ভারত নিজের সর্বশক্তি দিয়ে কোভিড -১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং দেশের সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষা করবে।” নববর্ষের দিনে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৪৬০ জন। দেশে ৮ হাজার ৯৪৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার ৩১২ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিস্তারিত পড়ুন: Corona Virus: উদ্বেগ বাড়িয়ে বাড়ল সংক্রমণ! গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২২ হাজারের বেশি
রাজ্যে আরও এক ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলল। ১৬ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭। তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। অ্যাক্টিভ ওমিক্রন কেস ১৪।
দেশের পাঁচ রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র বেশি। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৪, তারপরই রয়েছে দিল্লি, আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১। তামিলনাড়ু, গুজরাট ও কেরলে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১১৮, ১১৫ ও ১০৯।
শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ৭৭৫। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৮১।
ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলে ২ ডিসেম্বর। তার প্রায় দিন ১৫ পর সংখ্যাটা ১০০ পেরিয়ে যায়। তারপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ২১ তারিখেই ২০০ পেরিয়ে যায়। তার পরের ২ দিনেই সংখ্যাটা হয় ৩৫৮। ২৫ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৩ হয়। ২৭ তারিখে সংখ্যাটা একলাফে হয় ৫৭৮। আর শুক্রবার হাজার পেরিয়ে যায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া। শনিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ১৪৩১ জন।