বছর শেষে করোনার নয়া আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। দেশ তথা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, একমাসেই বিশ্বের ১০৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৭। বিশ্বেও শতাধিক দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছ। বৃহস্পতিবারই ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওমিক্রন রোধে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও ওমিক্রন রুখতে বুস্টার ডোজ়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
২৫০০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী নাগপুর শহরে মোতায়েন করছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টার মধ্যে রাস্তার বেরোনোর উপর কড়াকড়ি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। করোনার সংক্রমণের হার যাতে লাগামছাড়া না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেছেন, যে স্থানীয়ভাবে যেখানে যেমন প্রয়োজন, সেখানে তেমনভাবে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ডিসিপিদের বাজার এবং অন্যান্য সর্বজনীন জায়গাগুলিতে নজর রাখতে এবং সেইসঙ্গে শহরের আটটি প্রবেশ পথের উপর নজর রাখার জন্য রাস্তায় পিকেট বসাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং সেই সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহন্মুম্বই পৌরনিগম (BMC) মুম্বইয়ের যে কোনও বন্ধ বা খোলা জায়গায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান এবং জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে মুম্বই পৌর কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এই নির্দেশ জারি করেছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “পৌরনিগমের অধীনে কোনও বন্ধ বা খোলা জায়গায় কোনও জমায়েত বা নববর্ষ উদযাপন করা যাবে না।” নির্দেশটি ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে শনিবার বলেন, মেডিকেল অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ৮০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই গোটা রাজ্যব্যাপী লকডাউন জারি করা হবে। তিনি অবশ্য এও বলেন, রাজ্য সরকার চায় না যে সাধারণ নাগরিকরা আবারও কড়া বিধিনিষেধের মুখোমুখি হোক। সেই জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে যথাযথ কোভিড আচরণবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ১০৮ জনের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে।
দিল্লি ও মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। ওমিক্রন আতঙ্কে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কায় রয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। আজ দিল্লি ও মুম্বইতে কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। দিল্লিতে আজ ২৩৯ টি করোনা পজিটিভ কেসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জুলাই মাসের ১৩ তারিখ থেকে এই সংখ্যা সর্বাধিক। অন্যদিকে মুম্বইতে ৭৫৭ জনের দেহের করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে, ২৪ জুন থেকে এই সংখ্যা সর্বাধিক।
ওমিক্রন আতঙ্কে ত্রস্ত রাজধানী দিল্লি। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (DDMA) জেলা শাসকদের নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল, শহরে যেন ক্রিসমাস এবং নববর্ষের উদযাপনে কোনও ধরনের জমায়েত যাতে না হয়। জাতীয় রাজধানীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা শনিবার সতর্কতার সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করেছে। বিভিন্ন চার্চগুলিতে তুলনামূলকভাবে কম লোকজন দেখা গিয়েছে।
কেরালা এবং গোয়ার খ্রিস্টান সম্প্রদায় আড়ম্বর এবং উত্সাহের সাথে বড়দিন উদযাপন করেছে। গত বছর করোনা মহামারির কারণে বড়দিনে সেই ধরনের উদযাপন চোখে না পড়লেও এই বছর আনন্দ কোনও ভাটা পড়তে দেখা যায়নি। সমবেত জনতাকে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং দূরত্ব বজায় রাখার মত কোভিড বিধি পালন করতে দেখা গিয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের (Union Health Secretary Rajesh Bhushan) সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি – মার্চে উত্তর প্রদেশ এবং অন্য চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ সহ ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন কমিশনের আধিকারিকরা। বিশেষ করে ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে কোন রাজ্যে কী অবস্থা, তার উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই যোগী রাজ্যে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর, তিন দিন উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঠিক তার আগের দিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওমিক্রন আতঙ্ক দেশে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে রাজ্য সরকার গুলি। বিভিন্ন রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করেছে রাজ্য় প্রশাসন। এবার নির্দেশিকা দিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি ২০২২ অবধি সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করল তেলেঙ্গানা প্রশাসন। তবে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কোনও ধরনের পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় সভার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
মধ্য প্রদেশে, উত্তর প্রদেশ, গুজরাটের মত বেশ কিছু রাজ্য ওমিক্রন আতঙ্কে নাইট কার্ফুর পথেই হেঁটেছে। এবার তাদের দেখানো পথ বেছে নিল উত্তর পূর্বের অসম। অসমের বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামীকাল রাত সাড়ে ১১ টা থেকে ভোর ৬ টা অবধি অসমে জারি থাকবে নাইট কার্ফু। বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বর্ষবরণের রাত অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর যাবতীয় নিয়মে শিথিলতার কথাও জানিয়েছে অসম সরকার।
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, রাজস্থানে নতুন করে ২১ জনের ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে, ১১ জন জয়পুরের, ৬ জন আজমিরের এবং ৩ জন উদয়পুরের। রোগীদের মধ্যে একজন মহারাষ্ট্রের বলেই জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনে বিদেশ থেকে ফেরার রেকর্ড রয়েছে এবং অন্য ৩ জন বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে এসেছেন।
আজ ক্রিসমাস, এক সপ্তাহ পরই নতুন বছর। এইসময়েই ঘরে ফিরে আসেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়েই সবথেকে ব্যস্ততম সময় থাকে ক্রিসমাসই। কিন্তু এ বছর ওমিক্রনের আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরতে রাজি নন অনেকেই। সেই কারণেই যাত্রীর অভাবে প্রায় কয়েক হাজার বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে করোনা। এদিন সকালেই জানা যায়, মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলে একসঙ্গে ১৯ পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, স্কুলের মোট ৪৫০ জন পড়ুয়ারই করোনা পরীক্ষা করা হবে।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পার করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (COVID Positive) সংখ্যাও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবার কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষজ্ঞের দল (Central Expert Team) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে রাজ্যগুলিতে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে, সেগুলি হল কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, মিজোরাম, কর্নাটক, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাব। এর মধ্য়ে মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো রাজ্য়গুলিতে ক্রমশ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৮৯ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৬ হাজার ৬৫০ জন। যা গতকালের তুলনায় এক হাজার বেশি। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩৮৭ জন। একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে । দৈনিক আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৪ জন। মোট ৭৭ হাজার ৩২ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ২৮৬ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ২৩ হাজার ২৬৩ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিস্তারিত পড়ুন: Corona Virus: ওঠা-নামা করছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই এক হাজার বাড়ল সংক্রমণ
শুক্রবারই মুম্বইয়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৩ জন, যা গত ৬ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ। রাজ্যেও বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪১০ জন। অন্যদিকে, এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। গতকালের ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন মুম্বই, ৬ জন পুণে, ২ জন সাতারা ও ১ জন আহমেদনগরের বাসিন্দা।
শুক্রবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়েছে, রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা অবধি পাঁচজন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ এক জায়গায় জমায়েত করতে পারবেন না। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে এই নতুন নিয়ম। নতুন বছর শুরুর সাতদিন আগে বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রেও নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, বাড়ির ভিতরে বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ জন এবং বাইরে খোলা জয়গায় বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫০ জন বা ২৫ শতাংশ (যেটি কম হবে) আমন্ত্রণ করা যাবে।
উৎসবের মরশুমে কী করা উচিত, সে প্রসঙ্গে কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডঃ ভিকে পাল বলেন, “আমি যত্নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে চাই। সামনেই ক্রিসমাস ও নববর্ষ, এই সময়েই নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই মাস্ক পরা, নিয়.মিত হাত ধোয়া ও জমায়েত না করার বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন কড়া নজরদারির। বিনা কারণে ভ্রমণ, ভিড় জমানোর মতো বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে। আমাদের কাছে ভ্যাকসিন রয়েছে, কিন্তু তা সংক্রমণ রোখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। কন্টাক্ট ট্রেসিং ও নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সংক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে।”
করোনার সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন(COVID Vaccine)-র উপরই আস্থা রাখা হলেও, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট একাধিকবার অভিযোজিত হয়ে তৈরি হওয়ায় করোনার টিকাকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তদের নিয়ে একটি পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত। শুক্রবার এই পর্যালোচনার ফলাফল জানায় কেন্দ্র। মাস্ক পরা ও নজরদারির মাধ্যমে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার কথা মনে করিয়ে দিয়ে একইসঙ্গে বলা হয়, “এই সংক্রমণ রুখতে কেবলমাত্র ভ্যাকসিনই পর্যাপ্ত নয়।”