বছর শেষে করোনার নয়া আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। গোটা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, একমাসেই বিশ্বের ১১৭টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাপিয়ে বিশ্বে ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে রূপান্তরিত হচ্ছে ওমিক্রন। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই কলকাতায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানতে ছ’জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মনে করা হচ্ছে, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন।
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই কলকাতায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, কলকাতার আরও দুইজনের দেহে ওমিক্রন খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে কলকাতার এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্য়ক্তি ৫ বছর বয়সী এক শিশু কন্যার ওমিক্রন সংক্রমণ হয়ছে। আক্রান্ত দু’জনেরই কোনও উপসর্গ নেই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্তদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি ও ৩ জানুয়ারি তাদের আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হবে।
ওমিক্রন নিয়ে নতুন আতঙ্ক। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর পিম্পরি চিঞ্চওয়াডে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, সেই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। বৃহস্পতিবার, এনআইভি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, ওই ব্যক্তি করোনার ওমিক্রন সংক্রমণের দ্বারা সংক্রমিত ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩৩ দিন দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৩ হাজার ১৫৪। সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল ওড়িশা সরকার। ওড়িশাতে সবধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১০০ জনরে বেশি জমায়েত না করার বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।
প্রত্যেকদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আর যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা অবাক করে দেওয়ার মতো। বিশেষত দেশের কয়েকটি শহরে যে পরিসংখ্যান সামনে আসছে, তা দেখে তৃতীয় ঢেউযের আশঙ্কায় প্রহর গুনতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। মুম্বইতে একদিনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ৮২ শতাংশ, দিল্লিতে একদিনে ৮৬ শতাংশের হাই জাম্প। এই পরিস্থিতিতে দেশের ৮ রাজ্যকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলল কেন্দ্র। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার সংক্রমণও যে কোনও সময় ছুঁয়ে ফেলবে মুম্বই কিংবা দিল্লিকে।
বিস্তারিত পড়ুন : সংক্রমণের আচমকা বৃদ্ধি কি স্বাভাবিক! বাংলা সহ ৮ রাজ্যকে প্রস্তুত থাকতে বলল কেন্দ্র
গত কয়েকদিনে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে কলকাতায়। সার্বিক করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র এতটাই উর্ধ্বমুখী যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতিতে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপরই শহর কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরি করার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আগামিকাল, শুক্রবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা।
বিস্তারিত পড়ুন: বিপদসঙ্কেত! বাংলায় একদিনে ২ হাজারের বেশি সংক্রমণ! কলকাতাতেই ১ হাজার পার
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সম্পূূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাকসিন শিশুদের মধ্যে নিরাপদ, ভালভাবে সহনীয় এবং ইমিউনোজেনিক। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কমবয়সীদের অ্যান্টিবডি তৈরি প্রক্রিয়াতে ১.৭ গুণ বেশি কাজ করছে কোভ্যাকসিন। ওমিক্রন আতঙ্কে ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেকের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ফের কঠোর হচ্ছে বিধি। এবার শহরে বিমান ওঠানামায় কড়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। শহরে ব্রিটেনের বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৩ জানুয়ারি ২০২২ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। যেখানে সাক্ষর রয়েছে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার।
সবিস্তারে পড়ুন: ফের কলকাতায় বিমান অবতরণে নিষেধাজ্ঞা! ব্রিটেন ফেরত বিমানে না নবান্নের
দেশে ওমিক্রন আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। ২৫ ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি দেখেছিল পার্কস্ট্রিট। কাতারে কাতারে মানুষ সেদিন রাস্তায় নেমে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। সেই সময় কার্যত শিকেয় উঠেছিল কোভিডি বিধি। ফল ও মিলছে হাতে না হাতে। রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণে হার কমাতে ৩ জানুয়ারি থেকে ব্রিটেন থেকে কলকাতায় আসা সব বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, বিপি গোপালিকা সরকারি তরফে নির্দেশিকা জারি করেছেন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩ জানুয়ারি থেকে বিদেশ থেকে রাজ্যে আগত সকল যাত্রীর করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩৩ দিন দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৩ হাজার ১৫৪। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশের ৮ জেলায় করোনা পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে কলকাতাও রয়েছে। কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ১২.৫ শতাংশ। কলকাতার পাশাপাশি বাংলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
দিল্লিতে হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। এ দিন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন জানান, রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
ধীরে ধীরে দেশে আরও ছড়িয়ে যাচ্ছে ওমিক্রন। এবার পঞ্জাবেও মিলল ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী এক যুবক যিনি সম্প্রতি স্পেন থেকে ফিরেছিলেন, তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসায় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। আজ জানা যায়, ওই ব্যক্তিও ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।
উর্ধ্বমুখী কোভিড! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর দাইয়াই
♦ ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের ভাবনা
♦ প্রয়োজনে লোকাল ট্রেন কমানোর নির্দেশ
♦ আক্রান্ত বেশি হলে ফের স্কুল কলেজ বন্ধের ভাবনা। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য,স্কুলগুলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হচ্ছে টিকাকরণ কর্মসূচি। ১ ও ২ জানুয়ারি স্কুল পরিদর্শনে যাবেন এক্সিকিউটিভ অফিসার। কলকাতায় ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু ৩ জানুয়ারি। প্রথম দিন কলকাতার ১৬ টি বরোর ১৬ স্কুলে টিকাকরণ।
♦ প্রয়োজনে ফের ৫০ শতাংশ কর্মীর ওয়ার্ক ফর্ম হোমের পরিকল্পনা।
♦ বিমান অবতরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। বৈঠকে থাকবেন কলকাতা বিমানবন্দরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। থাকবেন মুখ্যসচিবও।
তৃতীয় ঢেউয়ের দোরগোড়ায় রাজ্য। কলকাতায় মিলছে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। এক সপ্তাহের মধ্যেই একেবারে চূড়ায় পৌঁছেছে সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের আশঙ্কা ৩০-৩৫ হাজার। এমনটাই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য় দফতর। নমুনা পরীক্ষার হারেও বিপদ বার্তা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বেসরকারি ল্যাবে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে টেস্ট। হাতে আসা তথ্য নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে মনে।
বিস্তারিত পড়ুন: Exclusive Omicron Report: এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলায় তৃতীয় ঢেউ, দৈনিক সংক্রমণ ৩০-৩৫ হাজার! বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের কাছে
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কীভাবে ভ্যাকসিন কাজ করে, তা বোঝাতে গিয়ে বুধবার সৌমা স্বামীনাথন জানান, করোনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন টিকার কার্যকারিতায় সামান্য ফারাক থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের তালিকায় যে টিকাগুলি রয়েছে, তা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অবধি সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া বিভিন্ন জৈবিক কারণের উপরও করোনা টিকার কার্যকারিতা নির্ভর করে। এই বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে সৌমা স্বামীনাথন বলেন, “বয়স, শরীরের অন্যান্য রোগের উপরও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ভর করে। আমরা সবাই জানি যে যত বয়স বাড়ে, ততই শরীরে লুকিয়ে থাকা রোগ ও কো-মর্ডিবিটি প্রকাশ পায়। ফলে বয়স্কদের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন বুধবার টুইটে লেখেন, “ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টি সেল (T-Cell) ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে। এটাই আশা করা হয়েছিল। এই টি সেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের গুরুতর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। সুতরাং এখনও যদি কেউ ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তবে শীঘ্রই করোনা টিকা নিন।”
সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেন, “একদিকে যখন বিশ্বে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও ছড়াচ্ছে, সেই মুহূর্তে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, যা ডেল্টার থেকেও অধিক সংক্রামক, তাও ছড়িয়ে পড়ছে। দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণের সুনামি আসতে পারে, এই বিষয় নিয়েই আমি উদ্বিগ্ন।”
ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “বর্তমানে দেশের একটি বড় সংখ্যক মানুষই করোনা টিকা পেয়েছেন, তারপরও সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে। সেই কারণেই আমাদের করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা, যাতে কোনও জায়গা সুপার স্প্রেডারে পরিণত না হয়।”
ওমিক্রনের দাপটে নতুন বছর কেমন হতে চলেছে, তা নিয়ে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, সেই সময়ই দিল্লির এইমস(AIIMS)-র ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria) বুধবার সাধারণের উদ্দেশ্যে বললেন, “আতঙ্কিত হবেন না, তবে সতর্ক থাকুন”। তিনি আরও বলেন, “আমি এই সুযোগে সকলকে অত্যন্ত শুভ, স্বাস্থ্যকর ও মঙ্গলময় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি, এই সময়ে বোঝা প্রয়োজন যে প্যান্ডেমিক এখনও শেষ হয়নি, তবে আমরা কিছুটা ভাল জায়গায় অবস্থান করছি।”
দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই মহারাষ্ট্রও। দিল্লিতে যেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩, সেখানেই মহারাষ্ট্রেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৫২-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। গতকালই এই সংখ্যাটি ছিল ১৬৭। অর্থাৎ একদিনেই নতুন করে ৮৫ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
গতকালই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৮১। ২৪ ঘণ্টাতেই তা বেড়ে দাঁড়াল ৯৬১-তে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ৩২০ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে সর্বোচ্চ ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে দিল্লিতেই। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে ২৫০ পার করেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট হল জো়ড়া বিপদ, যার জেরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ও মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, বিগত এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বাড়তেই ১৪৪ ধারা জারি হল বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। আজ, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি অবধি কার্ফু জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে রেস্তরাঁ, হোটেল, বার, পাব, রিসর্ট ও ক্লাব সহ সমস্ত খোলা বা বদ্ধ জায়গায় নববর্ষের উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।