Vaccine Effectiveness: ‘কার্যকরী ক্ষমতাও হারাতে পারে ভ্যাকসিন’, ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানালেন কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 15, 2021 | 4:38 PM

COVID Vaccine on Omicron: ওমিক্রনের সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, "করোনার ভ্যারিয়েন্টে যত বৈচিত্র আসবে, ততই আমাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে।"

Follow Us

নয়া দিল্লি: দ্রুতগতিতে দেশ তথা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট(Omicron Variant)। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০পার করেছে। ওমিক্রনের উদ্বেগের মাঝেই মঙ্গলবার কোভিড টাস্ক ফোর্স(COVID Task Force)-র প্রধান ডঃ ভিকে পাল (VK Paul) বললেন, “যেভাবে ভ্যারিয়েন্টগুলির রূপ ও প্রকৃতির পরিবর্তন হচ্ছে, তার জন্য দেশের টিকাকরণ প্রক্রিয়াতেও সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়তে পারে।”

দেশে করোনা সংক্রমণের শেষের শুরু হয়েছে, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization), এ দিন ডঃ ভিকে পালও বলেন, “আশা করছি আমরা মহামারির শেষের দিকেই এগোচ্ছি যেখানে সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম বা মাঝারি হতে পারে।”

তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে করোনা টিকার (COVID Vaccine) কার্যকারিতা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে যে আগামিদিনে আমাদের তৈরি টিকাগুলি অকার্যকর হয়ে উঠতে পারে। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে ওমিক্রনের সঙ্গে বাস করে আমরা দেখেছি কীভাবে নতুন নতুন উদ্বেগ, প্রশ্ন উঠে আসছে। এদের মধ্য়ে কিছু প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে এখনও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র নেই।”

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বি.১.১.৫২৯ ভ্য়ারিয়েন্টকে “উদ্বেগের কারণ” (Variant of Concern) হিসাবে আখ্য়া দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা বিশ্বের নানা প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। ওমিক্রনের সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, “সংক্রমণের গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন হওয়ার কারণেই আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে টিকাকরণ প্ল্যাটফর্মগুলি অভিযোজনের জন্য প্রস্তুত। করোনার ভ্যারিয়েন্টে যত বৈচিত্র আসবে, ততই আমাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে।”

দেশে ফ্লুর সঙ্গে যেভাবে প্রতি বছর মানিয়ে নেওয়া হয়, তার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “করোনা টিকা প্রস্তুতির পথ ধরেই কত দ্রুত আমরা নতুন ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারব, যা বর্তমান ভ্য়ারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেবে? আমাদের যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে, যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিনেও রূপান্তর বা পরিবর্তন করতে হতে পারে। হয়তো প্রতি তিন মাস অন্তরই এটি হবে না, কিন্তু প্রতি বছর এই ঘটনা ঘটতেই পারে।”

ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক শিল্পের ঝুঁকি নেওয়া এবং আগামিদিনের গতি প্রকৃতির পথ নির্ধারণ প্রয়োজন, একথার উপর জোর দিয়েই তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও করোনার সহ একাধিক ভাইরাল রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য কার্যকরী ওষুধ খুঁজে চলেছি।”

করোনা সংক্রমণ এসে যেমন সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছে যে ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, একইভাবে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্য়বস্থা ও পরিকাঠামোর উপরও বিশেষ জোর দেওয়া উচিত বলেই তিনি জানান। এই বিষয়ে ভিকে পাল বলেন, “প্যান্ডেমিক এখনও শেষ হয়নি, আমরা এখনও অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়ছি। তবুও আমরা আশা করছি যে হয়তো সংক্রমণের শেষের দিকেই এগোচ্ছি আমরা, যেখানে এই মারণ সংক্রমণ সামান্য রোগে পরিণত হবে, যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।”

নয়া দিল্লি: দ্রুতগতিতে দেশ তথা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট(Omicron Variant)। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০পার করেছে। ওমিক্রনের উদ্বেগের মাঝেই মঙ্গলবার কোভিড টাস্ক ফোর্স(COVID Task Force)-র প্রধান ডঃ ভিকে পাল (VK Paul) বললেন, “যেভাবে ভ্যারিয়েন্টগুলির রূপ ও প্রকৃতির পরিবর্তন হচ্ছে, তার জন্য দেশের টিকাকরণ প্রক্রিয়াতেও সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়তে পারে।”

দেশে করোনা সংক্রমণের শেষের শুরু হয়েছে, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization), এ দিন ডঃ ভিকে পালও বলেন, “আশা করছি আমরা মহামারির শেষের দিকেই এগোচ্ছি যেখানে সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম বা মাঝারি হতে পারে।”

তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে করোনা টিকার (COVID Vaccine) কার্যকারিতা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে যে আগামিদিনে আমাদের তৈরি টিকাগুলি অকার্যকর হয়ে উঠতে পারে। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে ওমিক্রনের সঙ্গে বাস করে আমরা দেখেছি কীভাবে নতুন নতুন উদ্বেগ, প্রশ্ন উঠে আসছে। এদের মধ্য়ে কিছু প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে এখনও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র নেই।”

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বি.১.১.৫২৯ ভ্য়ারিয়েন্টকে “উদ্বেগের কারণ” (Variant of Concern) হিসাবে আখ্য়া দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা বিশ্বের নানা প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। ওমিক্রনের সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, “সংক্রমণের গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন হওয়ার কারণেই আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে টিকাকরণ প্ল্যাটফর্মগুলি অভিযোজনের জন্য প্রস্তুত। করোনার ভ্যারিয়েন্টে যত বৈচিত্র আসবে, ততই আমাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে।”

দেশে ফ্লুর সঙ্গে যেভাবে প্রতি বছর মানিয়ে নেওয়া হয়, তার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “করোনা টিকা প্রস্তুতির পথ ধরেই কত দ্রুত আমরা নতুন ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারব, যা বর্তমান ভ্য়ারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেবে? আমাদের যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে, যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিনেও রূপান্তর বা পরিবর্তন করতে হতে পারে। হয়তো প্রতি তিন মাস অন্তরই এটি হবে না, কিন্তু প্রতি বছর এই ঘটনা ঘটতেই পারে।”

ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক শিল্পের ঝুঁকি নেওয়া এবং আগামিদিনের গতি প্রকৃতির পথ নির্ধারণ প্রয়োজন, একথার উপর জোর দিয়েই তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও করোনার সহ একাধিক ভাইরাল রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য কার্যকরী ওষুধ খুঁজে চলেছি।”

করোনা সংক্রমণ এসে যেমন সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছে যে ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, একইভাবে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্য়বস্থা ও পরিকাঠামোর উপরও বিশেষ জোর দেওয়া উচিত বলেই তিনি জানান। এই বিষয়ে ভিকে পাল বলেন, “প্যান্ডেমিক এখনও শেষ হয়নি, আমরা এখনও অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়ছি। তবুও আমরা আশা করছি যে হয়তো সংক্রমণের শেষের দিকেই এগোচ্ছি আমরা, যেখানে এই মারণ সংক্রমণ সামান্য রোগে পরিণত হবে, যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।”
Next Article