নয়া দিল্লি: দেশে কোভিড ঝড়। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে, কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
দুই পাতার সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যের কাছে এই আবেদন করা হচ্ছে, যাতে কমপক্ষে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সময় ধরে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহের সুবিধা থাকে। পাশাপাশি, যথাযথ পরিমাণে অক্সিজেন সিলিন্ডারের যোগান, পিএসএ প্লান্ট তৈরি, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর-সহ উপযুক্ত পরিষেবার ব্যবস্থা যাতে থাকে সেদিকে কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে। সমস্ত তথ্য তুলে দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। প্রয়োজনে তাহলে সমস্ত রাজ্যকেই মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কিছুদিন আগেই পশ্চিমের পাঁচটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। পাশাপাশি ভোটমুখী রাজ্যগুলির কোভিড পরিস্থিতি কী তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায়, জেলাস্তরে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিড রিভ্যিউ বৈঠকে বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের একটি বিশদ বিবরণ এই বৈঠকে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। একইসঙ্গে আলোচনা হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংক্রমণের হালহকিকত নিয়ে।
পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সারা বিশ্বে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি সম্পর্কে এক বিস্তারিত বিবরণী পেশ করেন। আক্রান্তের সংখ্যায় দ্রুত বৃদ্ধি ও আক্রান্তের হার বেশি – এই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাজ্য ও জেলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির খতিয়ান তুলে ধরা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সবরকম সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যেসব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। বৈঠকে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে যে আগাম অনুমান করা হয়েছে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৪ হাজার। গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৮৬৮। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সোমবার থেকেই দেশে চালু হয়েছে বুস্টার ডোজ় প্রদান। করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকাকরণ চালু হয়েছে ১৫-১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদেরও।
আরও পড়ুন: কোভিড বিধি কি যথাযথ পালিত হচ্ছে? খতিয়ে দেখতে বুধেই সাগরে পা কমিটি চেয়ারম্যান সমাপ্তির