Rahul Gandhi: ইন্ডিয়া জোটে নতুন কাঁটা, রাহুলকে ওয়েনাড আসন ছাড়ার আর্জি CPI-র

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 25, 2023 | 10:38 AM

Wayanad: সিপিআইয়ের ন্য়াশনাল এগজেকিউটিভ কমিটির বৈঠকেই দাবি করা হয়, ইন্ডিয়া জোটের উচিত ওয়েনাড আসন সিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া। কারণ এটি তাদের 'গড়'। রাহুল গান্ধী এই আসন থেকে প্রার্থী হলে সিপিআই-র প্রার্থী দিতে সমস্যা হবে।  

Rahul Gandhi: ইন্ডিয়া জোটে নতুন কাঁটা, রাহুলকে ওয়েনাড আসন ছাড়ার আর্জি CPI-র
রাহুল গান্ধী কি ওয়েনাড থেকে দাঁড়াবেন না?
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিকে হারাতে জোট বেধেছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু সেই জোটের পথে রয়েছে অনেক কাঁটা। আসন ভাগাভাগির আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পঞ্জাব নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এবার নতুন সংযোজন কেরল (Kerala)। জোটধর্মকে মান্যতা দিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-কে ওয়েনাড (Wayanad) কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে বারণ করল সিপিআই (CPI)। ওই কেন্দ্র থেকে রাহুলকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছে কেরলের শাসক জোটের সদস্য।

কেরলের শাসক জোট লেফ্ট ডেমোক্রাটিক ফ্রন্টের তরফে বরাবরই সিপিআই-কে ওয়েনাড আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আসন থেকেই প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ীও হয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে রাহুল গান্ধী যাতে এই আসন থেকে সরে দাঁড়ান, তার দাবি জানানো হল।

সূত্রের খবর, সিপিআইয়ের ন্য়াশনাল এগজেকিউটিভ কমিটির বৈঠকেই দাবি করা হয়, ইন্ডিয়া জোটের উচিত ওয়েনাড আসন সিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া।  রাহুল গান্ধী এই আসন থেকে প্রার্থী হলে সিপিআই-র প্রার্থী দিতে সমস্যা হবে।

তবে সিপিআই-র এই দাবিকে কোনওভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস। ওয়েনাড আসন ছেড়ে দেওয়ার জল্পনা উড়িয়ে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কে সুধাকরণ বলেন, “সিপিআই-র নিজেদের মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। তবে আমরা ইতিমধ্যেই হাইকম্যান্ডের কাছে রাহুল গান্ধীকে ওয়েনাড থেকে প্রার্থী করার আবেদন জানিয়েছি। ওয়েনাডে তাঁর উপস্থিতি ইউডিএফের জন্যও লাভজনক হবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই প্রার্থী পি সুনীরকে ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।

সিপিআইও জানিয়েছে, এটা নেহাতই তাদের দলের আভ্যন্তরীণ আলোচনা। এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে, সিপিআই-কংগ্রেসের এই দ্বৈরথে আপাতভাবে নীরব দর্শক সিপিআইএম। দলের তরফে এই বিষয়ে মুখই খোলা হয়নি। তবে রাহুলের আসন ছাড়ার আবেদনকে দাবিতে পরিণত করতে আগামিদিনে সিপিআইএমের ওপর সিপিআই চাপ বাড়াবে কি না, তাই-ই দেখার।

 

Next Article