আগরতলা: ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হটাতে এবার জোট বাঁধছে বাম ও কংগ্রেস। নির্বাচনী দামামা বাজার পর থেকে এমনটাই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতায় জট পেকেছে! শনিবার কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের রাজনীতির অন্দরে। পরোক্ষে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বও।
জানা গিয়েছে, বামেরা কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছিল ১৩টি আসন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ১৭টি আসনে। যদিও সমঝোতা তালিকা অনুসারে, কংগ্রেসের প্রাপ্য পেঁচারথাল আসনে হাত চিহ্নের কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। আবার ৫টি আসনে বাম ও কংগ্রেস- উভয়ই লড়ছে। এই ৫টি আসনের মধ্যে রয়েছে, ৪ নম্বর বাড়জালা, ১০ নম্বর মজলিশপুর, ১৪ নম্বর আসন এবং রাধাকিশোরপুর ও পাবিয়াছাড়া।
বাম-কংগ্রেস জোটের পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক, ৪ নম্বর বাড়জালা, ১০ নম্বর মজলিশপুর এবং পাবিয়াছাড়া আসনে CPIM-এর প্রার্থী রয়েছে। ১৪ নম্বর আসনটি শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক (FB) এবং রাধাকিশোরপুর আসনে RSP-র প্রার্থী রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই পাঁচটি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। অর্থাৎ এই কেন্দ্রগুলিতে সমঝোরতা অঙ্ক কাজ করেনি। ফলে বাম-কংগ্রেসের জট নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বাম, কংগ্রেসের জোট নিয়ে প্রথম থেকেই টানাপড়েন চলছিল। সেজন্য বামেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেও দেরি হয়েছে। তবে নানা জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩টি আসন কংগ্রেসকে দিয়ে সমঝোতায় আসে দুই শিবির। প্রথমদিকে, ২০-র বেশি আসন দাবি করলেও পরে ১৮টি আসন চেয়েছিলেন বীরজিৎ সিংরা অর্থাৎ হাত শিবির। যদিও সেটাও দেওয়া সম্ভব নয় বলে বীরজিৎদের জানিয়েছিলেন বাম নেতৃত্ব জিতেন্দ্র চৌধুরী, নারায়ণ কররা। শেষ পর্যন্ত ১৩ টি আসন কংগ্রেসের জন্য রেখে তালিকা প্রকাশ করেন তাঁরা। কিন্তু, বামেদের এই সিদ্ধান্তে যে হাত শিবির সহমত হতে পারেনি, তা এদিন তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশেই স্পষ্ট।
যদিও প্রদেশ সভাপতি বীরজিৎ সিংয়ের আশা, আলোচনার মাধ্যমে জটিলতা কেটে যাবে। বাম নেতৃত্বও একই আশার কথা বলছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, আদৌ বাম-কংগ্রেস জোট থাকে কিনা এবং জোট হলেও তারা সফল হয় কিনা, সেটাই দেখার!