আগরতলা: ফের একসঙ্গে একইপথে বাম, কংগ্রেস! ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় জাতীয় পতাকা হাতে কংগ্রেস নেতা-কর্মীর সঙ্গে একসঙ্গে রাস্তায় হাঁটলেন রাজ্যের প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন। ‘চাই অবাধ-হিংসামুক্ত ভোটের পরিবেশ’ শ্লোগান তুললেই একসঙ্গে মিছিলে পা মেলালেন তাঁরা। এঁরা ছাড়াও ত্রিপুরা রাজ্য কংগ্রেসের সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা সহ দুই দলের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ বাম-কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে সামিল হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি-কে পরাস্ত করতে ইতিমধ্যে বাম ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। এবার অবাধ-হিংসামুক্ত ভোটের পরিবেশের দাবি তুলে পথে নামলেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
এদিন সকালে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে বাম, কংগ্রেসের যৌথ মিছিল শুরু হয়। ‘আমার ভোট, আমার অধিকার’ শ্লোগান তুলে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। তারপর মিছিল শেষে অবাধ-হিংসামুক্ত ভোটের পরিবেশের দাবি তুলে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশন আধিকারিকের হাতে স্মারকলিপিও দেন বাম ও কংগ্রেসের যৌথ নেতৃত্ব।
এদিনের মিছিলে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বাম ও কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ মিছিলে সামিল হলেও কারও হাতে দলীয় পতাকা ছিল না। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়েই ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের আহ্বান জানিয়ে মিছিলে সামিল হন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। আপাতভাবে অরাজনৈতিক এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রত্যেকের হাতেই ছিল তেরঙা পতাকা। এদিন মিছিলের শুরুতেই রাজ্যবাসীকে নিজেদের অধিকার রক্ষায় সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, “মানুষ যদি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ও নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাহলে কোনও শক্তি তাঁদের আটকাতে পারবে না।”