নয়া দিল্লি: ‘মেরে ফেলা হবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) কে’। হুমকি চিঠিতে নড়েচড়ে বসল সিআরপিএফ (CRPF)।
এক ই-মেলকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মেলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ‘ওড়ানো হবে যোগী আদিত্যনাথকে। অমিত শাহকে সুইসাইড অ্যাটাকে (Suicide Attack) হত্যা করার জন্য কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের সিআরপিএফের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। আগামীদিনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা হবে তাঁদের।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মঙ্গলবার এমনই এক ই-মেলের কথা জানিয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফের ডিজিপি কুলদীপ সিং জানান, দিন কয়েক আগে অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকি দিয়ে এই চিছি এসেছে সিআরপিএফ-এর কাছে। যার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকেও সজাগ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১১টি সুইসাইড বোম্বিংয়ের কথা বলা হয়েছে হুমকি চিঠিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া দেশের একাধিক ধর্মীয় স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
We have forwarded the email to the concerned agencies of Maharashtra and the Centre. They are working on it and we will work as per their instructions: Kuldiep Singh, CRPF DGP on threat mail pic.twitter.com/i3faDTKBcR
— ANI (@ANI) April 6, 2021
এদিকে ছত্তিসগঢ়ের মাওবাদী ও সিআরপিএফ-র গুলির লড়াইয়ের পর সোমবার দুই স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে একটি রহস্যজনক ফোন আসে। তাতে আবার বলা হয়েছে, সিআরপিএফ-এর কমান্ডোকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই খবর স্ত্রীয়ের কাছে পৌঁছাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠি দিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছেন। এই প্রেক্ষিতে হুমকি মেলে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পাশাপাশি মাও হামলার সঙ্গে এই হুমকি মেলের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা এই মেল পাঠিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্ত বাতিলের আবেদন, সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ দেশমুখ ও আগাড়ি সরকার
তবে ইতিমধ্যে মেলের সূত্র খোঁজার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথের নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে বলে খবর। এই চিঠির পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন রয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।