সিবিআই তদন্ত বাতিলের আবেদন, সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ দেশমুখ ও আগাড়ি সরকার
আদালতের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অনিল দেশমুখ। কারণ হিসাবে জানান, তিনি নৈতিকতার খাতিরেই পদত্যাগ করেছেন।
নয়া দিল্লি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা পরমবীর সিং। সেখানে সাড়া না মিললেও হাইকোর্ট তাঁর আর্জি শুনেছিল। সোমবারই বম্বে হাইকোর্টের তরফে সিবিআইকে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হল মহারাষ্ট্রের আগাড়ি সরকার ও অনিল দেশমুখ।
সোমবার বম্বে হাইকোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই এ দিন মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম আসার কথা ছিল। তারই আগে সদ্য প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ও মহাবিকাশ আগাড়ি সরকার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানান।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া পিটিশনে অনিল দেশমুখ জানান, তাঁকে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগের আগেই হাইকোর্ট এ ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না। একইসঙ্গে সিবিআই অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর দ্বারা পরিচালিত এবং এই বিষয়টি আগে আদালতে শুনানি হওয়া উচিত।
গত ২৫ মার্চ মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বম্বে হাইকোর্টে তৎকালীন রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল, অনিল দেশমুখ পুলিশ অফিসারদের প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়েছিলেন। এরজন্য মুম্বইয়ের বিভিন্ন অভিজাত বার ও রেস্তরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন। তোলাবাজির ইদুর দৌড়ে সামিল হতে অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়েকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও পুলিশ অফিসার বদলি ও মামলা প্রভাবিত করার ক্ষেত্রেও জড়িত ছিলেন অনিল দেশমুখ।
বম্বে হাইকোর্টের তরফে এফআইআর দায়ের না করার জন্য পরমবীর সিংকে তিরস্কৃত করা হলেও সোমবার হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। বলা হয়, আগামী ১৫দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করতে হবে এবং উপযুক্ত প্রমাণ মিললে এফআইআর দায়ের করতে হবে।
আদালতের এই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অনিল দেশমুখ। কারণ হিসাবে জানান, তিনি নৈতিকতার খাতিরেই পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: করোনার মারণ থাবা, হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড়, বাইরে তাঁবু খাটিয়ে দিতে হচ্ছে অক্সিজেন