নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুম শুরু হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে। তার আগেই দুর্যোগের ঘনঘটা। বৃষ্টি তো লেগেই ছিল। এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আসনা (Cyclone Asna)। অত্যন্ত বিরল এই ঘূর্ণিঝড়। ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথম এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে।
গতকালই ঘূর্ণিঝড় আসনা গুজরাট অতিক্রম করেছে। এর জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ, শনিবার কর্নাটকেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে সাইক্লোন আসনা। মৌসম ভবনের তরফে এই ঘূর্ণিঝড়কে অত্যন্ত বিরল ঘূর্ণিঝড় বলেই অ্যাখা দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হল স্থলভাগ পেরিয়ে আরব সাগরের উপরে গিয়ে সাইক্লোনের রূপ নিয়েছে আসনা। সাধারণভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠ বা জলভাগেই রূপ নেয় ঘূর্ণিঝড়। তারপর তা স্থলভাগে প্রবেশ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা ঘটছে। ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথম এমন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। ১৮৯১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাত্র তিনবার এই ধরনের বিরল ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।
সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে আরব সাগরের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি থাকে, যা নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিবেশ নয়। কিন্তু বিরল এই ঘটনায় আরব সাগরেই তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়টি। বিকেলে গুজরাট পার করে সাইক্লোন আসনা। আরব সাগরের উপর দিয়ে তা ওমানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ কোনও প্রভাব পড়েনি। আসনার প্রভাবে কচ্ছ উপকূল, পাকিস্তানের কিছু অংশে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৭৬ সালে যে বিরল ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, তা ওড়িশায় উৎপন্ন হয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে আরব সাগরে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে ওমানের উপকূলে গিয়ে দুর্বল হয়ে যায়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)