কলকাতা : শক্তি ক্ষয়ের ইঙ্গিত সাইক্লোন জাওয়াদের। সাগরেই ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনাও ক্রমশ কমছে। পুরী পৌঁছনোর আগেই শক্তিক্ষয় শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত জাওয়াদ পুরী থেকে ৩৯০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। শনিবার দুপুরে পুরীর কাছে গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে জাওয়াদ। তারপর এগোবে বাংলার দিকে।
এগোনোর পথে আরও শক্তিক্ষয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার পর্যন্ত দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার নয় জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারও কমবে না বৃষ্টির দাপট। সোমবার ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জাওয়াদের শক্তিক্ষয়ে কিছুটা কম ঝড়ের দাপট। আজ বিকেল থেকে উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে হাওয়া। রবিবার বিকেলের পর হাওয়ার দাপট কমবে। কলকাতায় দমকা বাতাসের সতর্কবার্তা নেই।
এ দিকে, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কন্ট্রোলরুম সংক্রান্ত খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওপরে বিশেষ নজর রয়েছে নবান্নের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রতি ঘন্টায় নবান্নে রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে। পর্যটকদের অনুরোধ করা হয়েছে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৭৫ জন কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিলিফ ক্যাম্প করা হয়েছে ৪২ টি, ১১৫ টি সাইক্লোন সেন্টার তৈরি রাখা হয়েছে।
কলকাতার যে অংশে জল জমে, ভারী বৃষ্টি হলে সেই সমস্ত জায়গা থেকে জায়গা থেকে জল বের করার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে।