Cyclone Jawad: জাওয়াদ ভয়ে কাঁটা সুন্দরবন, নদী বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে! ক্ষতি রুখতে জোরকদমে শুরু প্রস্তুতি

West Bengal Rains: দুর্বল মাটির মধ্যে নদীবাঁধ থাকায় এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরের তরফ থেকে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে বাঁশ ও বস্তা দিয়ে।

Cyclone Jawad: জাওয়াদ ভয়ে কাঁটা সুন্দরবন, নদী বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে! ক্ষতি রুখতে জোরকদমে শুরু প্রস্তুতি
সুন্দরবনে শুরু বাঁধ মেরামতি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2021 | 4:50 PM

সুন্দরবন: সকালেই জানানো হয়েছে যে বঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভবনা নেই। আগামীকাল দুপুরে এটি পুরী সমুদ্রে এসে পৌঁছাবে। তার আগেই ঘূর্ণিঝড় নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। পরিণত হবে গভীত নিম্নচাপে। যার কারণে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি। যার কারণে ভয়ে কাঁটা সুন্দরবন।

সুন্দরবন এলাকাধীন বাসন্তী ব্লকের জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধারানী পুরএলাকায় নদী বাঁধের অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে গ্রামবাসীদের। কারণ এখানকার নদী বাঁধের বেহাল দশা। দুর্বল মাটির মধ্যে নদীবাঁধ থাকায় এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরের তরফ থেকে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে বাঁশ ও বস্তা দিয়ে।কিন্তু তার পরেও দুশ্চিন্তা কাটেনি।

শনিবার স্থানীয় মানুষ নদী বাঁধের খারাপ অংশ নিজেরাই মেরামতির কাজ করেছে। কারণ অতীতের আয়লা,বুলবুল,আম্ফান এমনকি ইয়াসেও নদী বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই গ্রাম। তারা জানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কতটা অভিশাপ হয়ে আসতে পারে তাদের উপর।

এদিকে, তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বের একই দাবি,নদী বাঁধ কংক্রিটের হোক। প্রতিবছর দুর্যোগ আসলে আতঙ্কে থাকতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। এদিকে, প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এবং ফ্লাড সেলটার খোলা হয়েছে। এক এলাকাবাসি বলেন, “এখনও নদীবাঁধ কংক্রিটের হয়নি। প্রতিবার দুর্যোগ আসে। আর আমাদের চিন্তায় ঘুম উড়ে যায়। বেশি বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে এলাকায়।ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায় সবকিছু। নিঃস্ব হয়ে যাই আমরা সকলে।”

বিজেপির তরফে দাবি, বাঁধ গড়ার নাম করে কোটি-কোটি টাকা তছরুপ হচ্ছে। কোনও কাজ হয়নি। বিজেপির তরফ থেকে বারবার কংক্রিটের বাঁধের দাবি করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ আর সারাদিন ধরেই টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী ওই এলাকায় । সেই বৃষ্টির ধারাবাহিকতা এখনও বর্তমান। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল সেই সতর্কতায় কোনও ফাঁক ফোকড় নেই।

অন্যদিকে, সুন্দরবনের লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষবাজারে। জোয়ারের জল এসে ঢুকে পড়েছে এলাকায়। মানুষজন পারাপার করছেন নৌকাতে।কিন্তু প্রায় লোকজন নেই বললেই চলে। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা।দোকানেও লোকজন নেই। মানুষজন কিন্তু যথেষ্ঠ সতর্ক নেই। সব মিলিয়ে জাওয়াদ সতর্কতা সুন্দরবনের সর্বত্র।

আরও পড়ুন: Job camp: চাকরিপ্রার্থীদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্য পুলিশের, ১২০০ পদে লক্ষাধিকের আবেদন ঘিরে বিশৃঙ্খলা