কলকাতা: গুটিগুটি পায়ে নয়, গতিতেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। রবিবার মধ্যরাতে সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আজ, শনিবার থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে মাইকিং। সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে এত উদ্বেগ, এই নাম এল কোথা থেকে জানেন?
মৌসম ভবনের তরফেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণের জন্যও রয়েছে আলাদা সিস্টেম। এটি হল রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটেওরোজিকাল সেন্টার। আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগরের উপরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে সংলগ্ন দেশগুলিই। ১২টি দেশের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম ঠিক করা হয়।
প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়েরই আলাদা আলাদা নাম হয়। এই নামগুলি ঠিক করে বিভিন্ন দেশ। এর আগে আয়লা, আমফান, ফণী, ইয়াসের মতো বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বা বাংলার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম দিয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান। এবার ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ওমান। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাইক্লোনের নামকরণ সিস্টেম অনুযায়ীই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকররণ করেছে ওমান। আরবি ভাষায় রেমাল শব্দের অর্থ বালি।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্যানিং থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়বে, তখন ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে। হাওড়া, হুগলি, নদীয়া , বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।