লখনউ: হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রীর নিথর দেহ। আইনের পড়ুয়া ছিল ১৯ বছরের ওই ছাত্রী। লখনউয়ের রাম মনোহর লোহিয়া ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন। এই ছাত্রীর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। এনআইএ-র ইন্সপেক্টর জেনারেল আইপিএস সন্তোষ রাস্তোগীর কন্যা ছিল সে। ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
রবিবার লখনউয়ের রাম মনোহর লোহিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী অনিকা রাস্তোগির দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেলের কামরায় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর নিথর দেহ পড়েছিল। সহপাঠীরা দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও, অনিকা না ওঠায় দরজা খুলে দেখা যায়, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ১৯ বছরের যুবতী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হল, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক রিপোর্টে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে যুবতীর বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ ছিল। ঘর থেকে কোনও সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধার হয়নি। তাঁর পোশাকও অবিন্যস্ত ছিল না। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
যুবতীর পরিবারের তরফেও এখনও পুলিশি অভিযোগ জানানো হয়নি। অনিকার বাবা আইপিএস অফিসার সন্তোষ রাস্তোগী। তিনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) দিল্লির ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে রয়েছেন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)