নয়া দিল্লি: সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি বাড়াতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর), ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদ। এই অনুমোদনের প্রশংসা করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন. এটা প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন,
“আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এটা এক চমৎকার পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্ত, প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-এর প্রতিশ্রুতির এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি চিহ্নিত করে।”
বৃহস্পতিবার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদ ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকার বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এর ৯৮ শতাংশই কেনা হবে দেশীয় সামরিক শিল্প থেকে। এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, “এটা ‘আত্মনির্ভরতা’-র লক্ষ্য অর্জনে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে যথেষ্ট উত্সাহ দেবে।” যদিও এই সরঞ্জামগুলির সংগ্রহ আইএএফকে প্রচুর শক্তি সরবরাহ করবে, দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প থেকে অধিগ্রহণ দেশীয় মন্ত্রক বলেছে, এই অস্ত্রশস্ত্রগুলি তিন বাহিনীর সক্ষমতাকে এক নতুন স্তরে নিয়ে যাবে। তবে সবথেকে বড় কথা, এর ফলে, বিদেশী অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের উপর নির্ভরযোগ্যতা অনেকাংশে কমবে। বর্তমানে, বিশ্বের সবথেকে বড় অস্ত্র আমদানীকারক দেশগুলির একটি হল ভারত।
ভারতীয় বায়ুসেনা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য প্রচণ্ড লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার এবং ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তেজস যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে পরিষদ। দুটি এয়ারক্র্যাফ্টই তৈরি করে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল (HAL)। দেশিয়ভাবে সুখোই-২০ এমকেআই বিমানগুলিও আপগ্রেড করা হবে। এছাড়া, দুই ধরনের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করতে পারে। ভারতীয় ফিল্ড গানগুলি প্রতিস্থাপন করার জন্য, একটি অত্যাধুনিক টোয়েড গান সিস্টেম সংগ্রহের প্রস্তাবও মঞ্জুর করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার গোলন্দাজ বাহিনীর প্রধান অস্ত্র হবে এই কামান। ১৫৫ মিমি আর্টিলারি বন্দুকে ব্যবহারের জন্য উন্নত মানের গুলি কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলির জন্য স্বয়ংক্রিয় নিশানা ট্র্যাকার এবং ডিজিটাল ব্যাসাল্টিক কম্পিউটার সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে পরিষদ। এছাড়া, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য মাঝারি পাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।