নয়া দিল্লি : সোমবার দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোট হচ্ছে না। আপাতত মঙ্গলবার সকাল অবধি অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে। আস্থা ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামিকাল। নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চেয়ে আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে আপাতত আজ কোনও ভোটাভুটি হচ্ছে না।
রাজধানীর অলিন্দে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি-আপের মধ্য়ে রাজনৈতিক তরজা জারি রয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার খেলা জারি রয়েছে। আপ-বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা বেশ কিছুদিন ধরেই জারি ছিল। সম্প্রতি দিল্লির নয়া আবগারি নীতি নিয়ে তা অন্য মাত্রা পায়। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। নয়া আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইার-ও। এই অভিযানের মাঝেই সিসোদিয়া দাবি করেছিলেন, বিজেপির তরফে তাঁকে দলে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। তারপর থেকেই অরবিন্দ কেজরীবাল অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি দিল্লিতে অপারেশন লোটাস চালাতে চাইছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, আপ বিধায়কদের ২০ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিতে চেয়েছিল বিজেপি। তবে আপের সেই দাবি নস্য়াৎ করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, বিজেপির অপারেশন লোটাস সফল হয়নি।
বিজেপির আপে ভাঙন ধরানোর প্রচেষ্টা অসফল হওয়ায় সোমবার বিধানসভায় অনাস্থা ভোটের ডাক দেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে চান যে বিধায়করা তাঁর পাশেই রয়েছেন। এদিন আপ ও বিজেপির বিধায়কদের মধ্যেকার উত্তেজনা বিধানসভা অবধি পৌঁছোয়। বিজেপি বিধায়করা ক্ষমতাসীন আপের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। আবগারি নীতি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার দাবি তোলে। এই নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিজেপি বিধায়কদের বের করে দেওয়া হয়। অরবিন্দ কেজরীবাল অভিযোগ করেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত ২৭৭ জন বিধায়ক কিনেছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছে, মধ্য প্রদেশ, বিহার, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও অসম।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এখন পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে এই দল।’