Delhi Blast: আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ নোটিস ন্যাকের
Delhi Blast: তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ছেলেদের হোস্টেলের একটি ঘর ছিল জঙ্গি মডিউলের মিটিং পয়েন্ট। এখানেই নাকি তৈরি হচ্ছিল হামলার নকশা। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব।

নয়া দিল্লি: আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ নোটিস ন্যাকের। ন্যাকের ভুয়ো অ্যাক্রিডেশন দাবি করার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অ্যাক্রিডেশনের মেয়াদ শেষের পরেও ভুয়ো তথ্য আপলোডের অভিযোগ উঠেছে। রেজিস্ট্রারকেও শোকজ করা হয়েছে। বিতর্কের চাপে ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে ন্যাক। ভবিষ্যতে ইউজিসি অনুমোদন বাতিল করার হুঁশিয়ারি কর্তৃপক্ষকে।
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এই কলেজের নাম শিরোনামে। তদন্তে উঠে এসেছে, এই কলেজই দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক জঙ্গি হামলার গোপন আস্তানা। এই ঘটনায় ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করেছিলেন নবিরা। পুলিশের জালে যে সমস্ত চিকিৎসকরা রয়েছেন, তারাও এই কলেজেই কোনও না কোনওভাবে যুক্ত।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ছেলেদের হোস্টেলের একটি ঘর ছিল জঙ্গি মডিউলের মিটিং পয়েন্ট। এখানেই নাকি তৈরি হচ্ছিল হামলার নকশা। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব। দিল্লি বিস্ফোরণের জঙ্গি চিকিৎসক উমর নবিও এখানেই কর্মরত ছিলেন। ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের।
পাশাপাশি মোজাম্মিল শাকিল, হরিয়ানায় যাঁর বাড়ি থেকে ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ উদ্ধার হয়, তিনিও আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, এবার তদন্তকারীদের র্যাডারে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকী। তাঁর ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে গোয়েন্দাদের মনে।তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে কীভাবে তৈরি হল নাশকতার মডেল? কর্তৃপক্ষের প্রচ্ছন্ন মদত নেই তো? সেই সব প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
