নয়া দিল্লি: স্কুলের গেটে নামিয়ে দিয়ে এসেছিলেন মেয়েকে, অফিসে ঢুকতেই স্কুল থেকে এল মেসেজ। জানানো হল, আজ তাঁর মেয়ে স্কুলে যায়নি। শুনে তো মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। নিজে নামিয়ে দিয়ে আসলেন স্কুলে, সেখান থেকে মেয়ে তাহলে গেল কোথায়? পড়িমড়ি করে ছুটলেন পুলিশে। থানায় বসেই মনে পড়ল একটি ঘটনা। আর তার জেরেই রক্ষা পেল ১৫ বছরের কিশোরী।
মঙ্গলবার এক কিশোরীকে স্কুলের বাইরে থেকে অপহরণ করার অভিযোগে এক ক্যাব চালককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ করতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও কিশোরীর বাবার অভিযোগ, এর আগেও তাঁর মেয়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে অভিযুক্ত।
কিশোরীর বাবা জানান, আগে ক্যাবে করেই স্কুলে যেত মেয়ে, হঠাৎ একদিন মেয়ে অভিযোগ করে, ক্যাব চালক অসভ্যতা করেছে তাঁর সঙ্গে। এরপর থেকেই তিনি নিজে প্রতিদিন মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন। গত ৩ নভেম্বরও তিনি মেয়েকে স্কুলের বাইরে নামিয়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদেই স্কুল থেকে মেসেজ আসে, তাঁর মেয়ে স্কুলে আসেনি।
স্কুলের মেসেজ দেখেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির। তড়িঘড়ি পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে বসেই তাঁর মনে পড়ে ওই ক্যাব চালকের কথা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। সন্দেহের বশে তিনি পুলিশের সামনে বসেই ওই ক্যাব চালককে ফোন করেন। কিন্তু চালক ফোন না ধরায় সন্দেহ আরও গাঢ় হয়।
এরপরই পুলিশ ওই ফোন নম্বর ধরে লোকেশন ট্রাক করে। দেখা যায়, গুরুদ্বার বাংলা সাহিবের কাছে দাঁড়িয়ে গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেখা যায়, গুরুদ্বারের সামনে ওই কিশোরীকে নামিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে চালক। সঙ্গে সঙ্গে চালককে গ্রেফতার করা হয়।
জেরায় অভিযুক্ত দাবি করে, কিশোরীর সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই আগে করা অভব্য় আচরণের জন্য় ক্ষমা চাইতে গিয়েছিল। ৩ নভেম্বর স্কুলের গেটের সামনেই দাঁড়িয়েছিল অভিযুক্ত। ক্ষমা চাওয়ার নাম করে জোর করে কিশোরীকে গাড়িতে বসায় সে এবং অপহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।