নয়া দিল্লি: হাতে মাত্র ১০ দিন সময়, তারমধ্যেই সমস্ত রাস্তাকে খানা-খন্দহীন (Pthole Free Road) করতে হবে। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। রাজধানীকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য একের পর এক প্রকল্প আনছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁর লক্ষ্য, পিডব্লুডি(PWD)-র অধীনে যত রাস্তা রয়েছে, তার সংস্কার করা।
এই লক্ষ্যেই শুক্রবার তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে যেন রাস্তার সমস্ত গর্ত বুজিয়ে দেওয়া হয় এবং আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে যে সমস্ত রাস্তা ভেঙে গিয়েছে বা কোনও একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তা যেন সারাই করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, সরকারের তরফে শীঘ্রই সমস্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য এক নতুন কর্মসূচি চালু করা হবে।
গণ পূর্ত দফতরের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে প্রায় ৩০৯টি জায়গা সংস্কারের প্রয়োজন। শহরজুড়ে মোট ১৩৫৭টি গর্ত রয়েছে। শীঘ্রই এই গর্তগুলি পূরণ করার প্রয়োজন রয়েছে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে রাজধানীর রাস্তাঘাটের দশা নিয়ে একটি রিভিউ বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল টুইট করে লেখেন, “ভারী বৃষ্টির জেরে অনেক রাস্তায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একাধিক রাস্তার দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা পিডব্লুডির অধীনে থাকা রাস্তাগুল্র সংস্কার করব।”
কম সময়ের মধ্যেই এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় মেইনটেন্যান্স ভ্যান পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে দিল্লির একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ যে সমস্যায় পড়েছেন, সেই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে তিনি দ্রুত সমাধান খোঁজার নির্দেশও দিয়েছেন।
গতকালের বৈঠকে পিডব্লুডির আধিকারিকরা শহরের ১২৬০ কিমি রাস্তার সংস্কার ও পূনর্নবীকরণ কীভাবে করা যায়, সেই সংক্রান্ত একটি মাস্টার প্ল্য়ানও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মূলত বর্ষার কারণেই রাস্তার যে বেহাল দশা হয়েছে, তা শোধরাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পিডব্লুডি মন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনও এই সংস্কারের কাজের উপর জোর দেন এবং আধিকারিকদের কাজের গতির সঙ্গে গুণমানের উপরও বিশেষ নজর দিতে বলেন। তিনি বলেন, “রাস্তা সংস্কারের জন্য সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকটিও নজরে রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দিয়েছেন, তার মধ্যেই যেন কাজ শেষ হয়।”
দিল্লি সরকারের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১০ অক্টোবরের মধ্যে শহরের সমস্ত খানাখন্দ চিহিনিতকরণ ও তা পূরণ করার কাজ শেষ করা হবে এবং আগামী ২০ দিনের মধ্য়েই ভাঙাচোরা রাস্তার সংস্কারের কাজও শেষ করা হবে। শুধুমাত্র সংস্কারই নয়। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নিয়মিত রাস্তার অবস্থা কীরকম, তা পর্যালোচনা করতে হবে। শহরে জল জমার সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।