নয়া দিল্লি: নিজের রাজ্য নিয়ে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে রাজ্যের স্কুল, হাসপাতালগুলিতে বিগত কয়েক বছরে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে প্রায় সময়ই বাকি রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টানেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা চুরি করতে জানি না, কীভাবে দুর্নীতি হয় বা দাঙ্গা বাধাতে হয়, তাও জানি না। তবে আমরা স্কুল ও হাসপাতাল তৈরি করতে জানি।”
রাজ্যে উন্নয়নের হিসাব দিতেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের সরকারি স্কুলগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দিল্লিতেও আগে একই অবস্থা ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদল হয়েছে। সরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ৯৭ শতাংশ নম্বর পাচ্ছে। প্রায় চার লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমরা রাজনীতিতে কেরিয়ার বানাতে আসিনি। আমরা দেশমাতার জন্য ও দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। আমি ঈশ্বরের কাছে দুটি জিনিসই প্রার্থনা করি। এক, ভারত যেন বিশ্বের এক নম্বর দেশে পরিণত হয়। দুই, আমি যেন সেই দিনটা দেখে যেতে পারি।”
রাজনৈতিক দলের আক্রমণ প্রসঙ্গে কেজরীবাল বলেন, “আমি রাজনীতি বুঝি না, শুধু কাজ বুঝি….অন্যান্য রাজনৈতিক দল আমায় গালিগালাজ করে, আমার বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কিন্তু আমার প্রশ্ন হল যদি গরিব মানুষদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিই, তবে এতে খারাপ কী রয়েছে? আমি যদি বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি গরিবদের জন্য, তাতে খারাপ কী?”
গতকালই দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয় যে দিল্লির ১২টি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া বেতন ছিল, তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, অরবিন্দ কেজরীবাল রাজ্যের সরকারি স্কুলের প্রশংসা করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের সরকারি স্কুলের সঙ্গে তুলনা টানায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশের সরকারি স্কুলের সঙ্গে দিল্লির স্কুলগুলির তুলনা টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল।