Delhi CM residence: রাস্তায় মালপত্র, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সিল করল পিডব্লুডি! ভিটেছাড়া অতীশি
Delhi CM residence: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর, বাড়িটি খালি করে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। পরে, অতীশি এই বাড়িতে উঠে আসেন। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন খালি করা এবং হস্তান্তর নিয়ে বিরোধ ছিল। যাকে সামনে রেখেই অতীশির বিরুদ্ধে বাড়িটি বেআইনিভাবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে পিডব্লুডি বিভাগ। প্রসঙ্গত, এই বিভাগটি উপ-রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নয়া দিল্লি: ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সিল করে দেওয়া হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। অতীশির বিরুদ্ধে বাড়িটি ‘বেআইনিভাবে ব্যবহার করার’ অভিযোগে, বুধবার (৯ অক্টোবর), এই সরকারি বাসভবন সিল করে দিল দিল্লির পিডব্লুডি বিভাগ। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, উপ-রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। অতীশির মালপত্র এবং আসবাবপত্রও নাকি, তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে তুলে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ঠিকানা – ৬, ফ্ল্যাগস্টাফ রোড। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর, বাড়িটি খালি করে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। পরে, অতীশি এই বাড়িতে উঠে আসেন। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন খালি করা এবং হস্তান্তর নিয়ে বিরোধ ছিল। যাকে সামনে রেখেই অতীশির বিরুদ্ধে বাড়িটি বেআইনিভাবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে পিডব্লুডি বিভাগ। প্রসঙ্গত, এই বিভাগটি উপ-রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপির নির্দেশে জোর করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন খালি করা হয়েছে। কারণ, বিজেপির একজন বড় নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বরাদ্দ করতে চান উপ-রাজ্যপাল। কারণ, ২৭ বছর ধরে দিল্লিতে নির্বাসিত বিজেপি এখন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন দখল করার চেষ্টা করছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন খালি করা হল। বিজেপির নির্দেশে উপরাজ্যপাল জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রী অতীশির জিনিসপত্র সরিয়ে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয় এবং আপের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও, উপ-রাজ্যপালের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে, দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “অরবিন্দ কেজরীবালের ‘শীশ মহল’ শেষ পর্যন্ত সিল করা হল। কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অনুমোদন ছাড়া তিনি (অরবিন্দ কেজরীবাল) কীভাবে ‘শীশ মহলে’ ছিলেন? তিনিও চেয়েছিলেন যে, তাঁর মুখ্যমন্ত্রী (অতিশি) সেই বাড়িতে থাকুন। ওই বাড়ির ভিতর কী লোকানো আছে যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে আপনি চাবি হস্তান্তর না করেই ফের বাংলোতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন? আপনি আপনার জিনিসপত্র দুটি ছোট ট্রাকে নিয়ে একটি ভাল নাটক তৈরি করেছেন। সবাই জানে যে বাংলোটি এখনও আপনার দখলে রয়েছে। আপনি যেভাবে অতীশীকে বাংলোটি হস্তান্তর করার চেষ্টা করেছিলেন তা অসাংবিধানিক ছিল। অতীশীকে ইতিমধ্যে একটি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে। তাহলে কীভাবে তিনি আপনার বাংলোয় গিয়ে ওঠেন?
এই ঘটনা ঘটার আগেই, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং জানিয়েছিলেন, পিডব্লুডি বিভাগের অফিসাররা মুখ্যমন্ত্রী অতীশিকে বাংলোটি বরাদ্দ করছেন না। সেখানে তিনি একটি ক্যাম্প অফিস করেছিলেন। সেটিও খালি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনের ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের ৬ নম্বর বাংলোটিতে এসে উঠেছিলেন অতীশি। বাংলোটি চাড়ার পর অরবিন্দ কেজরীবাল এখন ৫ নম্বর ফিরোজশাহ রোডে স্থানান্তরিত হয়েছেন। এটি আগে পঞ্জাব থেকে আপের রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া অশোক মিত্তলকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।