নয়া দিল্লি: অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা, একাধিক জমি থেকে রাইস মিল, নামে-বেনামে অনেক কিছুরই ‘মালিক’ নাকি তিনিই। আর প্রভাব? সে তো বীরভূমের মাটিতে পা রাখলেই আঁচ পাওয়া যায়। সেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে ইডি অফিসারদের। আইপিএস পদমর্যাদার অফিসাররা চোখা চোখা প্রশ্ন সাজালে কী হবে! সে সব নাকি বুঝতেই পারছেন না কেষ্ট মণ্ডল। শুক্রবারই আদালতেও সেই অসুবিধার কথা জানালেন ইডি-র আইনজীবীরা। শুক্রবার অনুব্রতকে পেশ করা হয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। সেখানেই ইডি জানিয়েছে, বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বুঝতেই পারছেন না অনুব্রত, লেখা তো দূরের কথা। তাই তাঁকে জেরা করার জন্য নাকি বাংলা ‘রাইটার’ জোগাড় করেছে ইডি।
গত তিন দিনে কেন অনুব্রতকে মাত্র ২ ঘণ্টা জেরা করা হল? এদিন আদালতে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনুব্রতর আইনজীবীরা। তার জবাব দিতে গিয়ে ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে ভাষাগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। অভিযুক্ত বাংলা ছাড়া আর কোনও ভাষা বুঝতে বা লিখতে পারেন না বলে দাবি করা হয়েছে।
এ কথা শুনে বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন, ‘হিন্দি, ইংলিশ জানেন?’ উত্তরে ঘাড় নেড়ে ‘না’ বলেন কেষ্ট। এরপর বিচারক অনুব্রতকে বলেন ‘আপনি কিছু বলতে চান?’ তাতেও নিরুত্তর থাকেন গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত।
ইডি জানিয়েছে, অনুব্রতকে প্রশ্ন করার জন্য একজন ট্রান্সলেটর (অনুবাদক) ও বাংলা লেখার লোক জোগাড় করা হয়েছে। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই এবার জেরা করা হবে।
সূত্রের খবর, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন নিজের হাতে বয়ান লিখতে বলা হলে অনুব্রত অফিসারদের জানান তিনি, সই করা ছাড়া আর কিছু লিখতে পারেন না। এরপরই আদালতে ভাষা সমস্যার কথা জানিয়েছে ইডি।
এদিন, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্য যখন বিচারক যখন তাঁকে ডাকেন, তখন নিজে চেয়ার থেকে উঠে বিচারকের সামনে চলে যান তিনি। এই দেখে ইডি-র আইনজীবী নীতিশ রানা বলেন, ‘দেখুন উনি দিব্যি সুস্থ আছেন।’