নয়া দিল্লি: যারই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, তিনিই জানাচ্ছেন অসুস্থতার কথা। প্রত্যেক ১০টি পরিবারের মধ্যে ৮টি পরিবারই ভুগছে জ্বর, সর্দি-কাশিতে। এমনটাই চিত্র রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়। অসচেনতার মাশুল দিতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত, তার উপরে বর্ষার মরশুমে ভাইরাল ফিভার- জোড়া সংক্রমণের আক্রমণে কুপোকাত দিল্লিবাসী। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অধিকাংশ দিল্লিবাসীরই জ্বর, সর্দিকাশি ও দুর্বলতার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছে। হাসপাতালগুলিতেও ক্রমশ বাড়ছে রোগী ভর্তির সংখ্যা।
জানা গিয়েছে, আবহাওয়া পরিবর্তন ও অসচেতনতার কারণেই অধিকাংশ দিল্লিবাসী হয় করোনা, নয়তো ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। দুটির উপসর্গই প্রায় এক হওয়ায়, অনেকে বুঝতেও পারছেন না। অনেকেই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। যাদের আবার সংক্রমণের বাড়াবাড়ি হচ্ছে, তারা করোনা পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রায় দুই গুণ মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। গত বছর যেখানে জুলাই-অগস্ট মাসে ৪১ শতাংশ পরিবারের মানুষ অসুস্থ হয়েছিলেন, সেখানেই এই বছর প্রায় ৮৩ শতাংশ পরিবারেই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়েছেন। এরমধ্য়ে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে চলতি সপ্তাহেই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা বলেন, “আমাদের এটা বুঝতে হবে যে করোনা মহামারি এখনও শেষ হয়নি। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি দয়া করে করোনাবিধি মেনে চলুন। আমরা এই মুহূর্তে কোনওভাবেই অসাবধান হতে পারব না।”
দিল্লিতে বর্তমানে দৈনিক করোনা সংক্রমণ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। সংক্রমণের হার ২০ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফেও জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি ভাইরাল ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্য়া প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই জ্বর, মাথা ব্য়াথা, সর্দি, নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্য়াথার মতো উপসর্গ রয়েছে।