Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, যমুনার জল পৌঁছল রিং রোডেও! ‘বন্যা দেখতে বেরবেন না’ অনুরোধ কেজরীবালের

Yamuna River Flooding: বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরীবাল।

Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, যমুনার জল পৌঁছল রিং রোডেও! বন্যা দেখতে বেরবেন না অনুরোধ কেজরীবালের
কোমর সমান জল দিল্লিতে।Image Credit source: PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 13, 2023 | 7:31 AM

নয়া দিল্লি: বড় বিপদের মুখে রাজধানী। বন্যার আশঙ্কায় ভয়ে কাঁটা দিল্লিবাসী। অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে যমুনা নদী। তার উপরে বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য় হরিয়ানা। সে রাজ্য় থেকে জল ছাড়তেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নদীর জল রাস্তায় উঠে এসেছে। বুধবারই দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল রাজ্যেের সাধারণ মানুষদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেন। যারা নীচু জায়গায় থাকেন, তাদের দ্রুত ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে অনুরোধ করেন। বন্য়া পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য গতকালই তিনি জরুরি বৈঠকে বসেন।

দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে যমুনা নদীর জলস্তর ২০৭.৭১ মিটারে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার রাতের মধ্যে এই জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা করা হলেও, গতকাল দুপুরের মধ্যেই জলস্তর বিপদসীমা পার করে যায়। নদীর জল উঠে এসে রিং রোড থেকে শুরু করে কাশ্মীর গেট অবধি প্লাবিত করে। জমা জলের কারণে ব্য়াপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরীবাল। তিনি জানান, বোট ক্লাব, মনেস্ট্রি মার্কেট, যমুনা বাজার, গীতা ঘাট, খাড্ডা কলোনি, মঞ্জু কা টিলা থেকে ওয়াজিরাবাদ, ময়ূর বিহার প্লাবিত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ যেন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় নেন। একইসঙ্গে তিনি সকলের কাছে অনুরোধ করেন, কেউ যেন বন্যার জল দেখতে না যান। কারণ যমুনা নদীর জলস্তর অত্যন্ত দ্রুত হারে বাড়ছে। ফলে যেকোনও সময়ে বিপত্তি ঘটতে পারে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যমুনা নদীর আশেপাশে ছয়টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী কেজরীবাল সমস্ত জেলাশাসকদের প্রয়োজনে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া ওবং সেই স্কুলগুলিকে ত্রাণ শিবির বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।