নয়া দিল্লি: পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পথ অনুকরণ করেই সাফল্য এসেছে মধ্য প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রেও। তাই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও ঝুঁকি নিলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। ঘোষণা করলেন মহিলা সম্মান যোজনার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতোই এই যোজনায় মাসে মাসে ১০০০ টাকা পাবেন মহিলারা। ভোটে জিতলে টাকার অঙ্ক দ্বিগুণ করে, ২১০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলেই প্রতিশ্রুতি দেন কেজরীবাল।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন কেজরীবাল তথা আপ সরকারের কাছে অগ্নিপরীক্ষা। আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় জেলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। জামিন পাওয়ার পর ভোটে জেতার চ্যালেঞ্জ করেই ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে। এবার ফের বিধানসভায় জিততে মরিয়া আপ। জয় নিশ্চিত করতেই মহিলাদের ভাতা তুরুপের তাস শাসক দলের।
বৃহস্পতিবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ঘোষণা করেন যে মহিলা সম্মান যোজনার অধীনে রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবনায় সম্মতি দিয়েছে দিল্লি ক্যাবিনেট। যদি ফের আপ সরকার গঠিত হয়, তবে এই ভাতা বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
তবে এখনই এই টাকা হাতে পাবেন না দিল্লির মহিলারা। কেজরীবাল নিজেই বলেন, “আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে, তাই এই মুহূর্তে টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব নয়। কিছু মহিলারা আমায় জানিয়েছেন যে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ১০০০ টাকা যথেষ্ট নয়। আমরা যদি ফের ক্ষমতায় আসি, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। শুক্রবার থেকেই রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে।”
কোথা থেকে আসবে এই টাকা? কেজরীবাল বলেন, “আমি ম্যাজিশিয়ান। আমি অ্যাকাউন্টের ম্যাজিশিয়ান। আমি জানি কোথা থেকে টাকা জোগাড় করতে হয়, কীভাবে খরচ করতে হয়? যদি আমি বলি, তাহলে করে দেখাব। যখন আমি প্রথমে বলেছিলাম বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেব, তখন সবাই বলেছিল যে সরকারের কাছে এত তহবিলই নেই। কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি…যদি কেজরীবাল কিছু করবে বলে স্থির করে, তা করেই দেখায়।”