“১৮ দিন কীসের অপেক্ষা করছিলেন?” করোনার প্রকোপ বাড়ায় সরকারকে তুলোধনা দিল্লি হাইকোর্টের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 27, 2020 | 2:41 PM

বুধবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৮৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। বর্তমানে দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া ৫ লাখ ৩ হাজার ৮৪, এর মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৪৫৮। করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৯৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

১৮ দিন কীসের অপেক্ষা করছিলেন? করোনার প্রকোপ বাড়ায় সরকারকে তুলোধনা দিল্লি হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র।

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: শীতের শুরুতেই করোনার (Coronavirus) নতুন ঢেউয়ে ধরাশায়ী রাজধানী, তার মাঝে বিয়েবাড়িতে অভ্যাগতের সংখ্যা নিয়ে সরকারের (Delhi Government) দ্বিধা ও সিদ্ধান্ত বদলের চরম সমালোচনা করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি দিল্লিরই। বর্তমানে রোজই মোট আক্রান্তের সংখ্য়া আট হাজারের আশেপাশে থাকছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দিল্লি সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, এখন থেকে বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত (weddings attendees)-র সংখ্যা ২০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করা হল। লকডাউন (lockdown) চলাকালীন সময় থেকেই আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৫০-এই বেঁধে দেওয়া ছিল, কিন্তু ১ নভেম্বর থেকে সেই নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়। রাজ্যে সংক্রামিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই পুরোনো সংখ্যায় ফিরে এল সরকার।

আজ দিল্লি হাইকোর্ট সরকারের তুলোধনা করে বলে,”১ নভেম্বর থেকেই হাওয়া কোনদিকে বইছে, তা আপনারা (দিল্লি সরকার) দেখেছিলেন। আমরা কিছু প্রশ্ন করতেই আপনারা কচ্ছপের রূপ ধারণ করেছেন। যখন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখনই ঘণ্টাটা জোরে ও স্পষ্টভাবে বাজা উচিত ছিল। যখন দেখছিলেন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে, তখনও জেগে ওঠেননি কেন?”

সিদ্ধান্ত নিতে ঢিলেমি নিয়ে আদালত বলে,”১১ নভেম্বরে কেন আপনাদেরকে ঘুম থেকে তোলাতে হল? ১ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর অবধি কী করছিলেন? ১৮ দিন (১৮ নভেম্বর) কেন সময় লাগল একটা সিদ্ধান্ত নিতে? এই সময়ের মধ্যে কতজন প্রাণ হারিয়েছেন জানেন? তাদের পরিবার পরিজনকে এই বিষয়টা বুঝিয়ে বলতে পারবেন তো?”

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মাস্ক না পড়লে ও সামাজিক দূরত্ব না মানলে জরিমানা বাবদ ৫০০ টাকা এবং পরবর্তী সময়ে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হচ্ছিল। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই পদ্ধতিও ব্যর্থ বলেই জানায় দিল্লি হাইকোর্ট।

বুধবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৮৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। আদালতের তরফ থেকে এই ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়। বর্তমানে দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া ৫ লাখ ৩ হাজার ৮৪, এর মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৪৫৮। করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৯৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরও পড়ুন: “আমি নিশ্চিত ৩-৪ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে” বললেন হর্ষবর্ধন

গতমাসের ২৮ তারিখ থেকেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই দিনই প্রথমবার রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের গণ্ডি পার করে। চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, শহরে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। ১১ নভেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ফের একলাফে বৃদ্ধি হয়ে ৮ হাজারের গণ্ডি পার করে।

সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসার জন্য দিল্লি সরকারের তরফ থেকে সকল জেলা শাসক ও স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের ২১ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলায় করোনা টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন টেস্টিং সেন্টারগুলির জন্য কর্মচারী নিয়োগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতে এসে পৌঁছল করোনা প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক-ভি’, ট্রায়াল চলবে কানপুরে

Next Article