নয়া দিল্লি: গ্রীষ্মকালে মিলছে না প্রিমিয়াম বিয়ার এবং অন্যান্য জনপ্রিয় মদের ব্র্যান্ড। গ্রাহকরা এই সকল জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলিরই খোঁজ করেন। কিন্তু সেগুলি না থাকায় বড় ক্ষতি হচ্ছে মদের খুচরো বিক্রেতাদের। এই সমস্যা তুলে ধরে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এক খুচরো মদ বিক্রেতা সংস্থা। কিন্তু, সেই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, কোন মদের ব্র্যান্ডগুলি জনপ্রিয়, তা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা বলেন, ‘এই সমস্যাটি আপনার এবং পাইকারি বিক্রেতাদের। সমস্যাটা আপনার এবং সরকারের মধ্যে নয়। তাছাড়া কোনও ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা একটি বিষয়ভিত্তিক ধারণা। এই বিষয়ে আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
‘পাথ টু ওয়ে এইচআর সলিউশনস’ নামে মদের এক খুচরো বিক্রেতা সংস্থা দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলা নথিবদ্ধ করার আবেদন করেছিল। তাদের দাবি, প্রতি গ্রীষ্মেই দিল্লিতে ভাল মানের বিয়ার সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়। এমনকি, ‘রয়্যাল স্ট্যাগ’ বা ‘ব্ল্যাক লেবেল’-এর মতো সহজলভ্য মদের ব্র্যান্ডগুলিও এখন দিল্লির কোনো দোকানে দেখা যায় না। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, খুচরা বিক্রেতাদের জন্য তাদের পোর্টালে পর্যাপ্ত পরিমাণে জনপ্রিয় এবং বিশেষ বিশেষ ব্র্যান্ডের মদ সরবরাহ করা সরকার এবং হোলসেলারদের কর্তব্য। কিন্তু তারা সেটা করছেন না।
গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে, বিচারপতি সাফ জানিয়েছেন, নতুন আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে, রাজ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে মদের সরবরাহ থাকবে। তবে সেখানে কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কথা বলা হয়নি। মজার বিষয় হল, এর আগেও আবেদনকারী সংস্থা, অর্থাৎ, ‘পাথ টু ওয়ে এইচআর সলিউশনস’ আরও দুটি আবেদন করেছিলেন একই আদালতে। প্রথম ক্ষেত্রে, দিল্লির নতুন আবগারি নীতির অধীনে অ্যালকোহল ব্র্যান্ডগুলির সর্বোচ্চ খুচরো বিক্রয় মূল্য নির্ধারণকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। পরের আবেদনে তারা মদের দোকানগুলির জন্য পুলিশি সুরক্ষা চেয়েছিল। সেই দুটিও খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ভার্মাকে, কিছুটা হালকা মেজাজেও মন্তব্য করতে দেখা যায়। আবেদনকারী ওই মদ ব্যবসায়ী সংস্থার কর্নধারদেরই তিনি একটু মদ্যপান করার পরামর্শ দেন। যাতে তাঁরা কথায় কথায় আদালতে ছুটে না আসেন। আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, ‘আপনার ক্লায়েন্ট তো অভ্যাসগত মামলাকারী হয়ে উঠছেন। এমনকি, যদি বাতাসে তাঁর মাথার চুল এলোমেলো হয়ে যায়, তাহলে তার জন্যও তিনি দিল্লি হাইকোর্টে ছুটে আসবেন। সম্ভবত, যা তিনি বিক্রি করেন, তা তাঁরও খাওয়া শুরু করা উচিত।’