নয়া দিল্লি: প্রেমের সম্পর্ককে অপরাধ বলে প্রমাণ করার জন্য পকসো আইন (POCSO) তৈরি হয়নি। এ কথা বলেই এক যুবককে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে জেলে ছিলেন ২৩ বছরের ওই যুবক। ঘটনার সময় ‘প্রেমিকা’র বয়স ১৭ বছরের কিছু বেশি থাকায় পকসো আইনে মামলা হয়েছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট তাকে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছে। বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, জেলে অপরাধীদের সঙ্গে একজন যুবকের ভাল হবে না, আরও খারাপের দিকে চলে যাবে সে।
বিচারপতি বিকাশ মহাজনের পর্যবেক্ষণ, যখন এই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তখন যুবতীর বয়স ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ বছর। একটা প্রেমের সম্পর্ক বোঝার জন্য এই বয়স যথেষ্ট। এছাড়া অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শারীরিক সম্পর্কের পথে তাঁরা এগিয়েছিলেন তাঁদের নিজেদের ইচ্ছায়।
জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলাটি করেছিলেন ২৩ বছরের এক যুবক, যিনি ২০২১ সাল থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা হয়েছে ওই যুবতীর সঙ্গে। পরে দেখা যায় যুবতী অন্তঃস্বত্ত্বা। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভপাত করাও সম্ভব ছিল না। এরপরই এফআইআর দায়ের হয়।
কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই যুবতী কখনই অভিযোগ দায়ের করতে চায়নি। অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ায় তার পরিবার যে অস্বস্তিতে পড়েছিল, তা থেকে বেরতেই এফআইআর করতে বাধ্য করে। তখন অভিযুক্তের বয়স ছিল ২০ বছর।
জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালত শর্ত দিয়েছে, ওই যুবক শহরের বাইরে যেতে পারবেন না, সাক্ষীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যাবে না, মামলার শুনানি থাকলেই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। উল্লেখ্য, এক এর আগে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট পরামর্শ দিয়েছিল, যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হোক। সে ক্ষেত্রে আদালতের যুক্তি ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেক দ্রুত মানসিক বিকাশ হয়।