নয়া দিল্লি: দিল্লিতে ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে ছবি দিয়ে ইতিমধ্যেই বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগও। দিল্লির এক আইনজীবী ধর্ষিতার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
গত রবিবার শ্মশান থেকে ঠাণ্ডা জল আনতে গিয়ে শ্মশানের প্রধান পুরোহিত ও তাঁর চার সহকারীর হাতে ধর্ষিত হয় ৯ বছরের নাবালিকা। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর দেহও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভয় দেখিয়ে, টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয় নির্যাতিতার পরিবারকে।
বুধবার ওই পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি নাবালিকার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, যেখানে নির্যাতিতার মা-বাবার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। আর সেই ছবি ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। কারণ ভারতের ‘পকসো’ আইনের অধীনে ধর্ষিতা নাবালিকা বা তাঁর পরিবারের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। বিষয়টি নজরে আসতেই টুইটার থেকে ছবি সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
এই মর্মে শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে টুইটারকেও। টুইটার ইন্ডিয়ার ‘রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স অফিসার’-কে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মা-বাবার ছবি পোস্ট করে নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী, যা পকসো আইনের বিরুদ্ধে।” এ কথা জানিয়েই টুইটার থেকে অবিলম্বে ওই ছবি সরাতে বলা হয়েছে
এ দিন, বিনীত জিন্দল নামক ওই আইনজীবী দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানিয়েছেন। পকসো আইনের ২৩ নম্বর ধারা, শিশু সুরক্ষা আইনের অধীনে ৭৪ নং ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮এ ধারায় মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। আরও পড়ুন: ১৫ অগস্টে ‘কিসান মজদুর আজাদি সংগ্রাম দিবস’ পালন করবে কৃষকরা, দেশজুড়ে হবে তিরঙ্গা মিছিলও