AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Liquor Policy Case: কোথায় গেল ১০০ কোটি? প্রশ্ন তুলেও মুক্তি পেলেন না কেজরীবাল

Delhi Liquor Policy Case: সাত দিনের জন্য অরবিন্দ কেজরীবালকে হেফাজতে রাখার আবেদন করেছিল ইডি। আদালত মঞ্জুর করল ৪দিন। এদিন আদালতে কেজরীবাল নিজেই নিজের হয়ে যুক্তি দাখিল করেন। তাঁর দাবি, এই মামলা এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

Delhi Liquor Policy Case: কোথায় গেল ১০০ কোটি? প্রশ্ন তুলেও মুক্তি পেলেন না কেজরীবাল
Image Credit: PTI
| Updated on: Mar 28, 2024 | 3:59 PM
Share

নয়া দিল্লি: সুনিতি কেজরীবাল বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ), আদালতে দিল্লিরক আবগারি কেলেঙ্কারির সত্য ফাঁস করবেন কারাবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এদিন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, তাঁকে বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজার আদালতে হাজির করে। আরও সাত দিনের জন্য অরবিন্দ কেজরীবালকে হেফাজতে রাখার আবেদন করে তারা। এই আবেদনের শুনানিতে এদিন আদালতে নিজেই নিজের হয়ে যুক্তি দাখিল করেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আবগারি কেলেঙ্কারির কোনও সত্য ফাঁস হয়নি বটে, তবে আদালতের সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তিনি তুলে দিলেন। তবে, এদিনও মুক্তি পেলেন না তিনি। আরও ৪ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে। ১ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

কেজরীবাল দাবি করেন, দেশের সামনে আপকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল হিসেবে প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দলকে ‘চূর্ণ করার’ চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, আদালতের সামনে সরাসরি এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেজরীবাল।

তিনি বলেন, “আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে…কিন্তু কোনও আদালতেই আমাকে দোষী প্রমাণ করা হয়নি। সিবিআই ৩১,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে এবং ইডি ২৫,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে। আপনি যদি সেগুলি সব পড়ে ফেলেন, তারপরও আপনার মনে প্রশ্ন থেকে যাবে, কেন আমাকে গ্রেফতার করা হল? আমার বাড়িতে নিয়মিত অনেক বিধায়ক-আমলারাই আসেন। চারটে লোক কী বলল, তার ভিত্তিতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায়?”

এই মামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে তিনি বলেন, “মানুষই এর জবাব দেবে।” তিনি আরও বলেন, “১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে বলা হচ্ছে, সেই টাকা কোথায় গেল? কোথাও তো কোনও টাকা পাওয়া যায়নি।”

অন্যদিকে ইডি আদালতে জানায়, কেজরীবাল নিজে তো এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেনই, তাছাড়া, আপ আহ্বায়ক হওয়ার ফলে গোয়া প্রচারে কোথায় কত অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি অনেক কিছু জানেন। এই বিষয়ে গোয়ার আপ প্রার্থীদের বিবৃতি রেকর্ড করা হচ্ছে। তাদের কেজরীবালের মুখোমুখি বসিয়ে, জেরা করা হবে।

ইডির পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন, “আমাদের ওঁকে (অরবিন্দ কেজরীবাল) গ্রেফতার করার অধিকার আছে। আমাদের দেখাতে পারি, তিনি ১০০ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। আমাদের কাছে এর প্রমাণ আছে।” তিনি আরও জানান, মোবাইল-ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন না কেজরীবাল। তাই অনেক ডিজিটাল তথ্য পাচ্ছে না ইডি। কেজরীবাল পাসওয়ার্ড না দিলে, জোর করে ইডি ওই যন্ত্রগুলি খুলবে বলে জানান তিনি।