Murder Case: ঠিকরে বেরিয়ে এসেছিল মণি, খসে পড়ছিল চামড়া, ৯০ শতাংশ পোড়া দেহের রহস্য উদঘাটন করল একটি ছবিই

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 08, 2023 | 9:25 AM

Delhi Crime: মুনিসদ্দিন ও রশিদ যথাক্রমে প্লাম্বার ও ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। সেখান থেকেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একে অপরের বাড়িতেও যাতায়াত শুরু হয়, সেখানেই রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় মুনিসদ্দিনের, দুইজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Murder Case: ঠিকরে বেরিয়ে এসেছিল মণি, খসে পড়ছিল চামড়া, ৯০ শতাংশ পোড়া দেহের রহস্য উদঘাটন করল একটি ছবিই
ফাইল ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: বছরের দ্বিতীয় দিনেই উদ্ধার হয়েছিল ৯০ শতাংশ পোড়া একটি দেহ। দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে পরিচয় জানা তো দূর, পুরুষ না মহিলার দেহ সেটি, তাও বোঝার উপায় ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এক সপ্তাহের মধ্য়েই হল সেই খুনের কিনারা। শনিবার ২৭ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করা হল খুনের অভিযোগে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। প্রেমিকার কথাতেই তিনি রাস্তা সাফ করতে ওই ব্যক্তিকে খুন করে। প্রথমে তিনি ওই ব্যক্তির পেটে ছুরির কোপ মারেন, এরপরে গলা কেটে দেন। প্রমাণ লোপাট করতেই এরপরে ওই ব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ওয়াজিরাবাদ এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মুনিসদ্দিন। তিনি দিল্লির ওয়াজিরাবাদের রাম ঘাটের বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তির নাম রশিদ। তাঁরা দুইজন বন্ধু ছিলেন। সম্প্রতিই রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুনিসদ্দিনের। এরপরেই দুইজন মিলে পরিকল্পনা করেন রশিদকে পথ থেকে সরিয়ে ফেলার। পরিকল্পনামাফিক গত ২ জানুয়ারি রশিদের সঙ্গে দেখা করেন মুনিসদ্দিন। এরপরে সুযোগ বুঝে কুপিয়ে ও গলা কেটে রশিদকে হত্যা করেন মুনিসদ্দিন। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দেন।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছ, গত ২ জানুয়ারি রাম ঘাট এলাকায় ৯০ শতাংশ একটি পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন) ও ২০১ ধারায় (তথ্য প্রমাণ লোপাট) অভিযোগ দায়ের করা হয় ওয়াজিরাবাদ পুলিশ স্টেশনে। তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেখানে রশিদকে এক ব্যক্তির সঙ্গে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এরপরই তদন্ত করে মুনিসদ্দিনকে চিহ্নিত করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রোহিনীর সেক্টর-১৬ র কাছে বাওয়ানা রোডে ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় মুনিসদ্দিনকে।

জেরায় জানা যায়, মুনিসদ্দিন ও রশিদ যথাক্রমে প্লাম্বার ও ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। সেখান থেকেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একে অপরের বাড়িতেও যাতায়াত শুরু হয়, সেখানেই রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় মুনিসদ্দিনের, দুইজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রশিদের স্ত্রীই বুদ্ধি দেন পথের কাটা সরানোর। এরপরে পরিকল্পনা মাফিক গত ২ জানুয়ারি মুনিসদ্দিন রশিদকে নিয়ে রাম ঘাটে নিয়ে যায়, সেখানে দুইজন মদ্যপান করেন। এরপরে পেটে কোপ মেরে এবং গলা কেটে রশিদকে হত্যা করে। দেহও পুড়িয়ে দেয়। যাবতীয় প্রমাণ লোপাট করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

Next Article