নয়া দিল্লি: আফতাবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গুলি কি শ্রদ্ধার? নাকি অন্য কারোর? আফতাবের বয়ানের উপরে আর ভরসা করতে পারছে না দিল্লি পুলিশ। সেই কারণেই ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের আশাতেই বসে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। শনিবারই দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, শীঘ্রই সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় পাঠানো হাড় ও রক্তের নমুনার রিপোর্ট দেবে। শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের তদন্তে এই রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গুলি সত্যিই শ্রদ্ধার কি না, তা জানা যাবে এই রিপোর্টেই।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের তদন্ত এখনও অনেকটা বাকি। অভিযুক্ত আফতাব জেরায় তাঁর প্রেমিকাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আফতাব যে হারে মিথ্যা কথা বলছে, তাতে তদন্ত ভুল পথে চালিত হতে পারে। সেই কারণেই বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের উপরই ভরসা করে থাকতে হচ্ছে। সম্প্রতিই আফতাবের পলিগ্রাফ ও নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষাও করানো হয়। সেই পরীক্ষাতেও আফতাবকে শ্রদ্ধার খুন করা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছে।
গত নভেম্বরেই দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুরের ফ্ল্যাট, যেখানে আফতাব ও শ্রদ্ধা লিভ-ইনে থাকত, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে রান্নাঘর ও বাড়ির পিছনের ড্রেন থেকে বেশ কয়েকটি হাড়ের টুকরো ও রক্তের নমুনা উদ্ধার করে। এরপরই তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে যে আফতাবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া হাড় ও রক্ত শ্রদ্ধারই।
শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী জানান, উদ্ধার হওয়া হাড় ও রক্তের ডিএনএ-র সঙ্গে শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ ম্যাচ করে দেখা হবে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, যেগুলি দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করেছিল আফতাব, তার রিপোর্টও পাওয়া যাবে দিনকয়েক পর। নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষায় পাওয়া বয়ানের ভিত্তিতেও চলছে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ।