নয়া দিল্লি: ক্ষমতায় আসার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও জল দেওয়ার। দিল্লির গদিতে বসে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণও করেছে কেজরীবাল সরকার। সম্প্রতি বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। তবে বিনামূল্যে ল্যাপটপ নয়, দিল্লিবাসীর আপাতত দাবি তাঁদের পর্যাপ্ত বিদ্যুতের জোগান দেওয়া হোক। বিগত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত হয়ে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বাসিন্দারা।
গরম বাড়তে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কয়লা সঙ্কট। পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লার জোগান না থাকায়, একাধিক রাজ্যে বিদ্যুৎসঙ্কট দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো দিল্লিতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্য়ুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন রাজ্যবাসী। শনিবার থেকে বাসিন্দারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, বিনামূল্যে ল্যাপটপ চাই না। বরং ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুক সরকার।
গরমে বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদাই হোক বা কয়লা সঙ্কট, দিল্লিবাসী সরকারের কোনও অজুহাত শুনতে নারাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার সময় আম আদমি পার্টি বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন সারাদিনই বিদ্যুৎ থাকছে না। ৫০ ইউনিটও খরচ হচ্ছে না। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বিনামূল্যে ল্যাপটপ চাই না। আপনারা (সরকার) আমাদের থেকে বিদ্যুতের চার্জ নিন, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন। দিল্লি সরকার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া নিয়ে নিজেদের পিঠ চাপড়াচ্ছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন।”
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ দিল্লির ভাটি মাইন ও ফতেহপুর বেরি ছাড়া বাকি গোটা অঞ্চলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। অফিসের কাজও ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য়। গুরুগ্রামেও দিনের প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন বিদ্য়ুৎ সঙ্কট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ জারি রাখতে কেন্দ্রের কাছে কয়লা সরবরাহের আবেদন জানিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। দাদরি-২ ও উনছাহার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।