নয়া দিল্লি: বিরোধীদের তুমুল আপত্তির মধ্যে, বৃহস্পতিবার (৩ অগস্ট) লোকসভায় পাস হল দিল্লি রাজধানী এলাকা সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। সারা দিন ধরে এই বিলের উপর বিতর্কের পর, লোকসভায় ধ্বণিভোটে পাস হয় বিলটি। আর এই বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী সাংসদরা লোকসভার কক্ষত্যাগ করেন। এরপর বিলটি রাজ্যসভার বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের সংখ্যা বেশি থাকলেও, এই বিলটি সম্ভবত সহজেই পাস হয়ে যাবে। বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ এই বিলের বিরোধিতা করলেও, নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি বিলটিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিল আইনে পরিণত হলে, দিল্লিতে আমলা নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতা হারাবে দিল্লির নির্বাচিত সরকার। এই ক্ষমতা ন্যাস্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
এদিন এই বিলের বিষয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই বলা হয়েছে, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বিষয়ে যে কোনও বিষয়ে আইন তৈরি করার অধিকার রয়েছে সংসদের। এছাড়া, সংবিধানও কেন্দ্রকে দিল্লির জন্য আইন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আম আদমি পার্টির সঙ্গে তাদের জোট আছে বলেই, দিল্লি পরিষেবা বিলের বিরোধিতা করছে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আপ দলের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ভিজিল্যান্স দফতরের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখা। যাতে বাংলো নির্মাণের মতো দুর্নীতি আড়াল করা যায়।
দিল্লি সার্ভিসেস বিল নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এদিন লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয় আম আদমি পার্টির একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কুকে। তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে কাগজ ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে। পুরো বাদল অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ সাংসদকে। এর আগে, রাজ্যসভায় অনুপযুক্ত আচরণের দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আপেরই রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে।
এদিন, দিল্লি রাজধানী এলাকা সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩-এর পাশাপাশি লোকসভায় ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০২৩-ও তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। এদিন এই বিষয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল। বিলটির বিরোধিতায় সেই বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। এই বিল নিয়েও সংসদের দুই কক্ষই উত্তেজনা বাড়ত পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।