মুম্বই: পাক জঙ্গি মডিউলের যে সদস্যদের মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, এ বার তাদেরই এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Mumbai Police Crime Branch) ও মহারাষ্ট্র জঙ্গি দমন শাখা (Maharashtra Anti-Terror Squad)। শনিবার সকালেই মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকা থেকে জাকির নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি জান মহম্মদ শেখ ওরফে সমীর কালিয়াই জাকিরকে মুম্বইয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আনতে বলা হয়েছিল। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে দেড় কেজি আরডিএক্স উদ্ধার করেছে। জেরায় স্লিপার সেলের বেশ সদস্যদের নামও জানিয়েছে জাকির, এমনটাই জানা গিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের (Delhi Police Special Cell) তৎপরতায় দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ থেকে মোট ছয়জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গিদের লাগাতার জেরা করে দিল্লি পুলিশ একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারছে।
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, পাক জঙ্গি মডিউলকে দুই সংগঠন পরিচালন করছিল। আন্ডারওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যেরকম ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, সেই ধাঁচেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
ধৃত জিশান কমর গতকালই স্বীকার করে নেয়, কেবল মুম্বই, দিল্লি নয়, দেশের সমস্ত মেট্রো শহরেই হামলার ছক ছিল তাদের। করাচিতে সে যখন জঙ্গি কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল, সেই সময়ই আড়াল থেকে প্রশিক্ষকদের এই পরিকল্পনা শুনে ফেলেছিল সে।
ধৃতরা জানিয়েছে, দেশে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, ধারাবাহিক বিস্ফোরণ করে ভারতের অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দিতে কাঁচামাল বহনকারী ট্রেন, গুদাম ও দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। হামলা চালানোর জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা হাওয়ালার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ইব্রাহিম নামক এক ব্যক্তি রয়েছে, যার প্রধান কাজই ছিল জঙ্গি হামলার জন্য তহবিল জোগান দেওয়া। লালা নামক অপর ধৃত আদতে একজন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসাবে কাজ করত। এদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম(Dawood Ibrahim)-র ভাই আনিস ইব্রাহিম।