নয়া দিল্লি: রাজধানীতে একের পর এক দুর্ঘটনা ও হেনস্থার খবর উঠে আসছে। এই নিয়ে দিল্লি মহিলা কমিশনকে (Delhi Women Commission) প্রায়সই কথা গলা ফাটাতে দেখা যায়। এবার রাতের রাজধানীতে হেনস্থার শিকার হলেন খোদ মহিলা কমিশনের প্রধানই। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে (Swati Maliwal) এক গাড়ি চালক কুপ্রস্তাব দেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর সেই গাড়িটিই প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিটার তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে দিল্লির এইমস হাসপাতালের সামনে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাতের দিল্লিতে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত? দিল্লির একাধিক ঘটনায় সেই প্রশ্নটাই বারবার উঠে এসেছে। এবার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার ভোর ৩ টেয় রাস্তায় বের হলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। ভোররাতে রাস্তায় বেরিয়ে এবার হেনস্থার শিকার হলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ভোর ৩:১১ নাগাদ একটি পিসিআর কল পান তাঁরা। বক্তা পুলিশকে জানিয়েছেন,এক বেলেনো গাড়ির চালক এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেন। এবং তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
মালিওয়াল নিজে টুইটে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন,দিল্লি এইমসের সামনে ফুটপাতে ভোর ৩:১১ নাগাদ দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হরিশ চন্দ্র নামের এক ব্যক্তি বেলেনো গাড়ি নিয়ে তাঁর সামনে থামেন। এবং তাঁকে গাড়িতে ওঠার জন্য জোর করতে থাকেন। স্বাতী পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি মদ্য়প অবস্থায় ছিলেন। তিনি ব্যক্তির এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই গাড়ি চালিয়ে চলে যান ব্যক্তি। তবে গাড়িটিকে ইউ-টার্ন নিয়ে তাঁর দিকেই ফিরে আসতে দেখেন। তারপর গাড়িতে ওঠার জন্য দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানকে জোর করতে থাকেন হরিশ। তবে তাঁর যথার্থ শিক্ষা দেওয়ার জন্য জানালা দিয়ে হাত বাড়াতেই জানালার কাচ তুলে দেয় ওই ব্যক্তি। সেই হাত আটকে থাকা অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়ে যান হরিশ। প্রায় ১৫ মিটার এইভাবেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানকে।
প্রসঙ্গত, বর্ষবরণের রাতে এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল দিল্লিবাসী। বর্ষবরণের রাতে পশ্চিম দিল্লিতে সেই পথ দুর্ঘটনা গোটা দিল্লিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। রাত দুটো নাগাদ একটি স্কুটারে করে দুই যুবতী যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি এসইউভি স্কুটারে গিয়ে ধাক্কা মারে। সেই স্কুটারের চালক যুবতী পড়ে যাওয়ার পর গাড়ির নীচে তাঁর দেহ আটকে যায়। সেই আটকে থাকা অবস্থাতেই তাঁকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দেহ ঘষটে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষে যখন গাড়ি থামে তখন যুবতীর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় তদন্ত জারি রয়েছে। সেই এসইউভি-র যাত্রীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার দিল্লির রাস্তায় মহিলাদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন স্বয়ং মহিলা কমিশনের প্রধান।