নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বালানির দাম (Fuel Price) উর্ধ্বমুখী। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দামও। পেট্রোপণ্যের মূল্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine Crime) শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড ওয়লের দামও লাফিয়ে বেড়েছে। জ্বালানির এই লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের ট্যাক্সি ও অটো চালকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সোমবার ও মঙ্গলবার, এই ২ দিন দেশের রাজধানী দিল্লিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ট্যাক্সি ও অটো ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল। পাশাপাশি জ্বালানির দাম কমানো নিয়েও সরব হয়েছিল তারা। দিল্লির সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে তারা অনড়। দিল্লির আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) সরকার অটো ও ট্যাক্সি চালকদের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে একটি কমিটি তৈরি করে তাদের দাবি দাওয়াগুলি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছিল।
দিল্লির অটো ও ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন তথা ভারতীয় মজদুর সংঘের শাখা ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ধর্মঘটের কথা জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিরাট সংখ্যা অটো ও ট্যাক্সি এই ২ দিন পথে নামবে না। দিল্লির অটো রিকশা সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্র সোনি ফোনে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র ও দিল্লির সরকার তাদের তোলা দাবিগুলিকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, মার্চ মাসের ৩০ তারিখ তাদের যাবতীয় দাবি দাওয়া ও সিনএনজি দামে ভর্তুকির আবেদন জানিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “চিঠির পরিবর্তে সরকারের তরফে আমরা কোনও প্রতিক্রিয়া পাই নি। তাই আমরা প্রতিবাদে ২ দিনের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই না কোনওভাবেই ভাড়া বাড়ুক, কারণ এতে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়বে। আমাদের একটাই দাবি, জ্বালানির দাম যেন না বাড়ে এবং সিএনজির দামে ভর্তুকি দেওয়া হয়।” তবে বেশ কিছু ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে না। তবে এই দু’দিন অটো ও ট্যাক্সির সংখ্যা রাস্তায় যথেষ্টই কম থাকবে, ফলে সাধারণ মানুষকে সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।