জোশীমঠ: ৭০০-রও বেশি বাড়িতে ধরেছে ফাটল, ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে মাটি। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই জোশীমঠ নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। যেকোনও মুহূর্তেই বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে জোশীমঠে (joshimath)। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিপর্যয় রুখতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকও করছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। জোশীমঠের বাসিন্দাদের যাতে শিকড় উপড়ে না যায়, তার জন্যই একটি মডেল শহর গঠনের প্রস্তাব দিল সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (Central Building Research Institute)। জোশীমঠের ভাঙন রুখতে এই সংস্থার তরফে একটি বিপর্যয় প্রতিরোধক মডেল শহর (Disaster Resilient Model Town) তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জোশীমঠের যে সমস্ত বাসিন্দারা বাড়িতে ফাটল ধরার কারণে ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা এরফলে উপকৃত হবেন।
একদিকে যেমন সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তরফে মডেল শহর গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তেমনই কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের তরফেও তিন-স্তরীয় অ্যাকশন প্ল্যানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যে বিল্ডিংগুলি হেলে গিয়েছে, সেগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। বাকি ৪ হাজার বিল্ডিং কতটা সুরক্ষিত ও মজবুত, তার সেফটি অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিবিআরআই-র ডিরেক্টর আর প্রদীপ কুমার।
সোমবারই সিবিআরআই-র ডিরেক্টর সংস্থার বিজ্ঞানীদের নিয়ে জোশীমঠ ঘুরে দেখেন এবং পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ ও উত্তরাখণ্ড সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা। সিবিআরআই-র তরফে একটি বিপর্যয় প্রতিরোধক মডেল শহর গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে আধুনিক খরচ সাপেক্ষ বিল্ডিং প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুরক্ষিত জায়গা চিহ্নিত করে পরিকল্পনামাফিক শহর তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে বাড়িগুলি তৈরি করা হবে থেকে শুরু করে নির্মাণকাজ সংক্রান্ত যাবতীয় পরামর্শ সিবিআরআই-র তরফেই দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কত সংখ্যক বাড়ি রয়েছে এবং জোশীমঠে তুলনামূলক সুরক্ষিত জায়গা কোনগুলি, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জোগান দেবে উত্তরাখণ্ড সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে বাড়ির অ্যাসেসমেন্ট, পরীক্ষা-পর্যালোচনার পর একাধিক বিভাগে ভাগ করা হবে চিহ্নিত বাড়িগুলিকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই পর্যালোচনা শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।