আগরতলা: সামনেই পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। আর ভোট নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ত্রিপুরার জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বুধবার বেঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার, নির্বাচন কমিশনারদ্বয় অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে ও অরুণ গোয়েল। ইভিএম থেকে আইন শৃঙ্খলা সহ ভোটের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বুঝিয়ে দেওয়া হয়, ভোটের প্রস্তুতিতে গাফিলতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এমনকী গাফিলতি প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে।
বৃহস্পতিবারও বৈঠক রয়েছে। এ দিন, রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করবে রাজনৈতিক দল গুলি। পাশাপাশি প্রশাসনের অন্য পদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকতে পারেন।
এদিকে, ভোটের প্রস্তুতি ঘিরে তুঙ্গে সে রাজ্যের ব্যস্ততা। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্যের শাসকদল বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধীরা। জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবির সেখানে দুটি জন রথযাত্রা শুরু করেছে। সেই রথযাত্রার সমাপ্তি হবে আজ। যাত্রার সূচনা করতে খোদ ত্রিপুরায় উড়ে গিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৬০টি বিধানসভা আসনের উপর দিয়ে ১ হাজার কিলোমিটার জুড়ে বিজেপির এই জন বিশ্বাস যাত্রার আয়োজন করা হয়। শেষদিন অর্থাৎ আজ সেখানে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও গিয়েছেন ভোটমুখী ত্রিপুরায়।শুধু শুভেন্দুই নয়, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও গিয়েছেন সেখানে। ত্রিপুরার একাধিক জায়াগায় পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে যোগ দেন এই দুই মহারথী। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ নন্দীগ্রাম থেকে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। হয়েছেন বঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যথেষ্ট ভরসার পাত্র তিনি। এবার তাই পড়শি রাজ্যেও ভোটের আগে ডাক পড়েছে শুভেন্দুদের।