নয়া দিল্লি: চরম বিপাকে আম্রপালী গ্রুপের (Amrapali Group) প্রধান। খুনের মামলায় নাম জড়াল আম্রপালি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল শর্মার (Anil Sharma)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নয় বছর আগে বিহারে (Bihar) একটি খুনের মামলায় যে নয়জনকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যেই একজন হলেন অনিল শর্মা। পটনা হাইকোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই(CBI)-র তরফে আম্রপালী গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিহারের বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন সেক্রেটারিকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ৮ অগস্ট বিহারের লখিসরাইয়ে বালিকা বিদ্যাপীঠের তৎকালীন সেক্রেটারি ডঃ শরদ চন্দ্র খুন হন। তিনি বাড়ির বারান্দায় বসে খবর পড়ছিলেন, এমন সময়ে তাঁর উপরে গুলি চালানো হয়। তাঁর স্ত্রী উমা শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে খুন, অপরাধমূলক চক্রান্ত ও অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত হিসাবে আম্রপালী গ্রুপের চেয়ারম্যান সহ আরও আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, লখিসরাইয়ের বালিকা বিদ্যাপীঠের জমি দখল করে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চক্রান্ত করা হচ্ছিল। সেই কাজে বাধা দেওয়ার কারণেই খুন হতে হয় স্কুলের সেক্রেটারি ডঃ শরদ চন্দ্রকে।
পটনা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। নিহত সেক্রেটারির স্ত্রী দাবি করেছিলেন যে আম্রপালী গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল শর্মা ২০০৯ সালে বেশ কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে বালিকা বিদ্যাপীঠের ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেন এবং জোর করে ডঃ চন্দ্রকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল। স্কুল পরিচালন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণেও তাঁকে একাধিকবার নিশানা বানানো হয়েছিল, এমনকী তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। স্কুলের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই ডঃ চন্দ্র বাধা দেন। এরপরই তাঁকে খুন করা হয়।