নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল ‘দ্য ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ’ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১২ ও ১৩ জানুয়ারি, দুদিন ব্যাপী চলবে এই শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের ১২০টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নেবে। ভারতের উপর বর্তমানে জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব থাকায় এই ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই জানিয়েছিলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে যে, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে কোন কোন বিষয়ে আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই কাজ এই দুই দিনের ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ শীর্ষ সম্মেলনে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার, এই বিষয়ে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “একটি উন্নততর গ্রহের জন্য আমরা সবাই একত্রিত হচ্ছি। আগামীকাল, ১২ জানুয়ারি ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে অংশ নিচ্ছি আমি।”
বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচি টুইট করে জানিয়েছেন, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনটির সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অধিবেশনের আলোচনার বিষয়, ‘মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন’। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নিজের বক্তব্য পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনের থিম হল ‘ইউনিটি অব ভয়েস, ইউনিটি অব পারপাস’ বা, ‘কথায় ঐক্য, উদ্দেশ্যে ঐক্য’। এই সম্মেলনে বিশ্বের সকল উন্নয়নশীল দেশগুলি একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হচ্ছে। বিদেশ নীতি, অর্থ, জ্বালানি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিবেশের মতো বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১০টি অধিবেশনে আলোচনা হবে।
এই সম্মেলনের শুরুতে এবং শেষে অংশগ্রহণকারী দেশের রাষ্ট্রনেতা বা সরকারি প্রধানদের বৈঠক হবে। দুটি অধিবেশনেরই সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত সপ্তাহেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, এই শীর্ষ সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কোন কোন দেশ সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সম্পর্কের উত্তেজনার কারণে চিন ও পাকিস্তানের এই সম্মেলনের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের অগ্রাধিকার, দৃষ্টিকোণ, তাদের পরামর্শগুলি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে ভারত সরকার। সেই সংক্ষিপ্তসার জি২০ প্রেসিডেন্সিতে পাঠানো হবে। বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, “জি২০-এর সদস্য নয় এমন দেশগুলির বক্তব্য আমরা শুনতে চাই। তারা আমাদের সঙ্গে যে সকল পরিকল্পনা ভাগ করে নেবে, সেগুলি নিয়ে জি-২০-র কাঠামোয় আলোচনা হতে পারে।”