নয়া দিল্লি: অতি মহামারি পরিস্থিতির জেরে নাকাল দেশের প্রায় প্রত্যেকটি রাজ্য। এই অবস্থায় দিনরাত এক করে রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পর্যাপ্ত শয্যা এবং পরিকাঠামোর অভাবকে সঙ্গী করেই সপ্তাহে সাত দিন, কখনও নাগাড়ে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে ডাক্তারবাবুদের। কিন্তু, এই কঠিন সময়ের মধ্যেও নির্মম আচরণের সাক্ষী থাকতে হচ্ছে সেই চিকিৎসক সমাজকে। রোগী মৃত্যুর জেরে এ বার সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই ডাক্তারদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দিল্লির অ্যাপেলো হাসপাতালে।
সোমবারের হিসেবে রাজধানীতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের। একটা শয্যা ও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে চতুর্দিকে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধাকে নিয়ে আসা হয়েছিল দিল্লির ওই বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর থেকেই বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। ফলে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শুরু হলেও চটজলদি আইসিইউ-তে ভর্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু কোনও ওয়ার্ডেই পর্যাপ্ত বেড নেই। এই অবস্থায় আইসিইউ-তে ভর্তি করতে দেরি হয়। তারই মধ্যে জরুরি বিভাগে শুয়েই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। এরপরই মৃতের পরিবারের সদস্যরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা মায়ের কাছ থেকে কি গর্ভের সন্তানে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস?
দিকবিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে কমপক্ষে চার-পাঁচজন ব্যক্তি লাঠিপেটা করতে শুরু করে সামনে থাকা চিকিৎসকদের। চলতে থাকে কিল-চড়, লাথি-ঘুষির বৃষ্টি। এই অবস্থায় ছুটে আসেন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হলেও লাভ হয় না। বারংবার আক্রান্ত হতে হয় চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ জন শিক্ষানবীশ ডাক্তার। হামলাকারীরা সকলেই পলাতক। সিসিটিভি দেখে তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
আরও পড়ুন: করোনা কড়চা: আজীবন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তৃতীয় ডোজ়ের ট্রায়াল শুরু কোভ্যাক্সিনের