AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা কড়চা: আজীবন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তৃতীয় ডোজ়ের ট্রায়াল শুরু কোভ্যাক্সিনের

এ দিন এসআরএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ৭ জনকে তৃতীয় বুস্টার ডোজ় দেওয়া হয়।

করোনা কড়চা: আজীবন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তৃতীয় ডোজ়ের ট্রায়াল শুরু কোভ্যাক্সিনের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 27, 2021 | 6:24 PM
Share

চেন্নাই: দেশে এ পর্যন্ত যে কয়েকটি করোনা প্রতিষেধক (COVID Vaccine) ছাড়পত্র পেয়েছে, তার সবক’টিই দুই ডোজ়ের। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুটনিকের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ়ের পর দ্বিতীয় ডোজ় দিলেই টিকাকরণ সম্পন্ন। কিন্তু নতুন একটি ট্রায়াল শুরু করল ভারত বায়োটেক। যেখানে দ্বিতীয় ডোজ়ের ৬ মাস পরে তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হচ্ছে টিকা প্রাপকদের। বিশেষজ্ঞরা এর মাধ্যমে আজীবনের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

এ দিন এসআরএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ৭ জনকে তৃতীয় বুস্টার ডোজ় দেওয়া হয়। ট্রায়ালকারী সংস্থা জানিয়েছে, এই পর্বে মোট ১৯০ জনকে তৃতীয় বুস্টার ডোজ় দেওয়া হবে। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের তৈরি এই প্রতিষেধক একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। তৃতীয় বুস্টার ডোজ়ের ট্রায়ালের দায়িত্বে থাকা ডঃ সত্যজিৎ মহাপাত্র জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের ওপর এই ট্রায়াল হবে। ট্রায়ালে সুফল মিললে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার ৬ মাস পরে তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে।

অর্থাৎ কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তখন প্রথম ডোজ়ের ২৮ দিন পরে মিলবে দ্বিতীয় ডোজ় আর তৃতীয় ডোজ় তারও ৬ মাস পর। প্রসঙ্গত, এখনও কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি। চিকিৎসক সত্যজিৎ মহাপাত্র জানিয়েছেন, পরের মাসে প্রকাশিত হতে পারে তৃতীয় পর্বের রেজাল্ট। যদিও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে কোভ্য়াক্সিন ৭১ শতাংশ করোনা রুখতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত কম। বর্তমানে করোনা টিকা নেওয়ার পর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠলেও তা দীর্ঘমেয়াদি নয় বলেই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। তাই আজীবন প্রতিরোধের লক্ষ্যে এই ট্রায়াল শুরু করল কোভ্যাক্সিন।

উল্লেখ্য, দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৫২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশে এপর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩০৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৪৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

আরও পড়ুন:  ‘আপনারা না পারলে কেন্দ্রকে বলব পরিচালনা করতে’, অক্সিজেন মামলায় দিল্লি সরকারকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের